যে কারণে গ্রেফতার হলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মুমিন

 

তাইফুর সরোয়ারঃ-

চাঞ্চল্যকর জালিয়াতি মামলায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম মুমিন ভোলা থেকে আটক হয়েছেম। বুধবার রাতে ভোলা সদর থানা পুলিশের সহায়তায় ভোলা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের পাখিরপুলে বাসা থেকে তরিকুল ইসলাম মুমিনকে রাত-৩ টায় গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। পরে তাকে সড়কপথে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েক দিন ভোলা পুলিশের বক্তব্য না পাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে ধ্রুম্যজাল ছড়ায় এলাকায়। পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে আটকের কথা স্বীকার না করলেও আজ ভোলা সদর থানা ওসি এনায়েত হোসেন তরিকুল ইসলাম মুমিন এর গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তরিকুল ইসলাম মুমিন এর বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকার কোতয়ালি থানায় একটি জালিয়াতির মামলা দায়ের করার প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঢাকার একজন ব্যাবসায়ীর কাছ থেকে একটি প্রকল্পের কাজের তদবির করে দিবে বলে প্রায় ০৪ চার কোটি টাকা নেয় তরিকুল ইসলাম মুমিন। আরও জানা যায়, সরকারের বিশেষ কোনো ব্যক্তির সাক্ষর জালিয়াতি করে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একজন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাকে ভিসি পদে নিয়োগ দেওয়ার নামে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মুমিন সহ একটি প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে। সেই চক্রে একজন মন্ত্রীর পিএস সহায়তা করার অভিযোগ উঠেছে।
পরে সে টাকা নিয়ে মমিন উধাও হয়ে ভোলায় তার নিজ বাড়িতে পলাতক রয়েছেন বলে জানতে পারে ঢাকার সিআইডি পুলিশ। বিষয়টি জানার পর ঢাকা থেকে আসা সিআইডি ফোর্স ও ভোলা সদর থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে বুধবার রাত-৩ টায় আটক করে মুবিনকে ঢাকায় নিয়ে যায় সিআইডি ফোর্স ।

এ বিষয়ে ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন বলেন, কোন মামলায় তাকে আটক করা হয়ে তা জান যায়নি, তবে তেজগাঁও থানা পুলিশ তাকে আটকের সহায়তা চাইলে ভোলা সদর থানা পুলিশের মোবাইল টিম সহায়তা করে। মামলাটি চাঞ্চল্যকর না হলে এ করোনার মধ্যে তাকে আটকের জন্য ভোলায় ঢাকা পুলিশ আশার কথা নয় বলে জানান ওসি।

এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেস্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

SHARE