ভোলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

 

আমজাদ / বিপ্লব
ভোলা উত্তর দীঘলদী ৩ নং ওয়ার্ড থেকে বুধবার দুপুর ১:৩০ মি: শিকদার বাড়ির হাবিব (২০) পিতা:মাকসুদ শিকদার কে ধরে নিয়ে আসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এস,আই শাহে আলম এ,এস,আই ছামছুল আলম সঙ্গীয় ফোর্স ফরিদ আহমেদ জিয়াউদ্দিন মাহমুদু নবী মুকুল ওয়ারলেস অপারেটর ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাস।

বৃহস্পতিবার সকালে হাবিবের বাবা মাকসুদ সিকদার গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে অভিযোগ তুলে ধরেন।ভোলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে কিছু লোকজন গিয়ে বিনা অপরাধে আমার ছেলে হাবিবকে তুলে নিয়ে আসেন।তাদের সোর্স আমার কাছে একটি নাম্বার দিয়ে বলে আমার সাথে যোগাযোগ করেন আপনার ছেলের কিছু হবে না।সে নাম্বারে যোগাযোগ করে জানতে পারি যে সে সোর্সের নাম রুবেল।রুবেল আমাদেরকে টাকার কথা বলে তার সাথে দর কসাকসি হয়।তার সাথে ৪০ হাজার চুক্তি হয়,তারপর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অফিস নিচতলায় সিঁড়ির নিচে দাঁড়িয়ে রুবেলের মাধ্যমে তাদেরকে ৪০ হাজার টাকা দেই।পরে নাটকীয় ভাবে হাতকড়া পরানো অবস্থায় আমার ছেলেকে ছেড়ে দিয়ে আবার দৌড়ে গিয়ে তারা ধরে তারপর থানায় চালান দিয়ে দেয়।
এস আই শাহে আলমের কাছে সোর্স রুবেলের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন এই নামে আমাদের কোন সোর্স নেই।
অপরদিকে রুবেলের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে রুবেল বলেন হ্যাঁ গতকালকে উত্তর দিঘলদী ৩ নং ওয়ার্ডে নুরে আলম(৪০) পিতা:আনছার নামক এক মাদক ব্যবসায়ীকে ধরিয়ে দিতে আমি তাদের সাথে সেইখানে যাই।
টাকার বিষয়টি জানতে চাইলে এস,আই শাহে আলম ও তাদের সোর্স রুবেল দুইজনই অস্বীকার করে।
বিষয়টি জানতে ঘটনাস্থলে গেলে এলাকাবাসী জানায় আমরা খেতে কাজ করি তখন হঠাৎ করে দেখলাম লুঙ্গি পড়া অবস্থায় দুটি লোক এসে নুরে আলম কে ধরে পরে নুরে আলম বাঁচার জন্য চিৎকার করে তার চিৎকার শুনে হাবিব দৌড়ে আসে আমরাও কাজ রেখে দৌড়ে আসি,নুরে আলম তখন তাদের হাত ছিটকে পালিয়ে যায়।তারপর তারা হাবীবকে ধরে তখন আমরা এলাকাবাসী সবাই ক্ষিপ্ত হয়ে যাই তখন তারা পরিচয় দিল তারা প্রশাসনের লোক তখন আমরা সবাই আবার নিরব হয়ে যাই।তাদের সাথের আরো অনেক লোকজন সেখানে এসে হাবিব কে ধরে নিয়ে যায় আমরা এলাকাবাসী সবাই তাদের আকুতি-মিনতি করে বলি হাবিব নির্দোষ তাকে কেন আপনার ধরে নিয়ে যাচ্ছেন।তারা কোন কথা না শুনে হাবিব কে ধরে নিয়ে যায়।এই নিয়ে এলাকা বাসির বিতর ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বিষয়টি উত্তর দীঘলদীর চেয়ারম্যান মুনছুর আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন নুরে আলম কুখ্যাত একজন মাদক ব্যবসায়ী।তাকে ধরার জন্য সিবিলে দুইজন লোক এসে তাকে ধরে সে চিৎকার দিলে হাবিব সেইখানে আসে নুরে আলম ছুটে যায় অন্যথায় হাবিবকে ধরে নিয়ে যায় এবং তাদের সোর্সের মাধ্যমে চিরকুটে একটি নাম্বার দিয়ে যায় তাদের সাথে যোগাযোগ করে অফিসে আসলে হাবিবকে ছেরে দিবে।চেয়ারম্যান আরো জানায় হাবিব অত্যন্ত ভালো ছেলে করোনার কারনে ঢাকা থেকে ভোলা এসেছে।হাবিব ঢাকা কমার্স কলেজের স্টুডেন্ট বলে জানায়।

SHARE