জীবন ঝুঁকি ও স্বাস্থ্য শঙ্কায় ভোলা-কলঘাট সড়ক !!

এম. ইমরান হোসাইনঃ

ভোলার বাপ্তা বাস টার্মিনাল হতে কলঘাট পর্যন্ত প্রায় ৩ কিঃমিঃ সড়ক। পুরো রাস্তা জুড়ে বিশাল গর্ত ও জড়জীর্ণ রাস্তাটি। রাস্তার পাশেই খাল থাকায় বেশ ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। প্রায় সময়ই গাড়ীর সাথে গাড়ীর ধাক্কা ও ছোটখাটো দূর্ঘটনা হয়ে থাকে। প্রতিনিয়ত গাড়ী মেরামত করতে হচ্ছে ৫০০ টাকায় গাড়ী ভাড়া নেয়া চালককে। এতে করে গাড়ী মালিকরাও হিমসিম খাচ্ছে। দীর্ঘ এ সড়কটি ভাঙ্গার ফলে পাঙ্গাসিয়া, বাঘারহাট ও জাঙ্গালিয়ার লোকজন এ সড়কটি বর্জন করেছে। তারমাঝে পুরো রাস্তার দুই পাশে অসাধু ব্যাবসায়ীরা ইট, খোয়া ও বালু বিক্রি করছে। ধুলাবালির যন্ত্রনায় মানুষ অতিষ্ঠ। যাত্রী এবং স্থানীয়দের সমস্যা হলেও ব্যবসায়ীরা হচ্ছেন কোটিপতি যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এই রুটে প্রতিদিন সহস্রাধিক যানবাহন সহ কয়েক হাজার লোকের চলাফেরা রয়েছে। দুইটি আদর্শগ্রাম সহ এসব গ্রামের লোকজনের চলাফেরার দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। এই সড়কটি ভোলার অন্যতম একটি ব্যাস্ত সড়ক হওয়া সত্বেও কোন নজর নেই জনপ্রতিনিধিদের। এই রুটে প্রতিদিন সেলটেক সিরামিকস এর যাত্রীবাহি বাস, প্রাইভেট কার, মালবাহী ট্রাক, লরি, কাভার্ড ভ্যান, হোন্ডা, অটোরিকশা, বোরাক সহ শত শত ইট, বালি পরিবহনকারী যানবাহনের চলাফেরা। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত সড়কটি মেরামতের কথা শোনা গেলেও তা বাস্তবে দেখা যায়নি। এসব এলাকার লোকজন চলাফেরায় একদিকে যেমন পরিবেশ দূষণ ও স্বাস্থ্য শঙ্কায় ভুগছেন অন্যদিকে সড়কটি চলাফেরার অযোগ্য হয়ে পরায় তারা পরেছেন চরম দূ্র্ভোগে। এসব এলাকার প্রতিষ্ঠান গুলোতে আসতে যেমন শিক্ষক -শিক্ষার্থীদের ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে, ঠিক তেমনি এসব এলাকার চাকুরিজীবী, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, শ্রম ও কর্মজীবি মানুষের মাঝে এই সড়কে চলাফেরা হয়ে উঠেছে একটি আতঙ্কের নাম। এদিকে সড়কে বিভিন্ন সময়ে দূর্ঘটনা ও ধুলাবালিতে ফুসফুসে সমস্যা সহ রোগ বালাই থেকে এলাকাবাসী অতিসত্বর পরিত্রাণ পেতে চায়। তাদের দাবী ইট, বালু পরিবহনকারী ট্রাক গুলোর কারনে স্বাভাবিক চলাফেরা ব্যাহত হচ্ছে এবং এগুলোর কারনেই রাস্তা দ্রুত নষ্ট হচ্ছে। অন্য ড্রাইভাররা এই রুটে গাড়ী নিয়ে আসতে চায়না। তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের দ্বারা দ্রুত সড়কটি মেরামতের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ করছে এলাকাবাসী।

SHARE