সাংবাদিকতা করা কি অপরাধ— হাসিব রহমান

 

 

ভোলার প্রভাবশালী দৈনিক বাংলার কন্ঠের ব্যাবস্থাপনা সম্পাদক, জনকন্ঠের নিজস্ব প্রতিনিধি, মাছরাঙা টিভির ভোলা প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক হামিদুর রহমান হাসিব ভোলার সম্প্রতি সময়ের ঘটনাবলী নিয়ে একটি স্ট্যাটাস  দিয়েছেন তার স্ট্যাটাসটি ভোলা নিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরলাম…..

“সাংবাদিকতা করা কি অপরাধ !
দেশে যখন কোন দুর্যোগ হয়,তখন সাধারন মানুষ নিরাপদে আশ্রয়ে ছুটে। আর সাংবাদিকরা মানুষের দুর্ভোগের,ক্ষতিগ্রস্থের চিত্র তুলে ধরেন। কেউ তাদের খবর রাখে না। তাদের নিজের যা কিছু আছে সম্বল তা নিয়ে সংবাদ সংগ্রহে ঝাপিয়ে পড়ে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে লিখতে গিয়ে বহু সাংবাদিককে প্রাণও দিতে হয়েছে। মিথ্যা মামলায় কারাবরণও করতে হয়। আজ আমাদের দেশই নয় বিশ্বে করেনা ভাইরাস মহামারীতে প্রতিদিন প্রাণ যাচ্ছে অগনিত মানুষ। সরকার সাধারন ছুটি ঘোষনা করে লঞ্চ গন পরিবহন চলাচল,মার্কেট বিপনী বিতান বন্ধ করা হয়। মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু সাধারন অনকে মানুষই সরকারি নির্দেশ মানছে না। ট্রলার চলে,যত্রতত্র মানুষ হাট বাজারে সামাজিক দূরুত্ব নিশ্চিত না করেই চলছে। আর এসব খবর তুলে ধরে সাংবাদিকরা। কিন্তু সাংবাদিকদের নেই পর্যাপ্ত করোনা ভাইরাস মোকাবেলার সুরক্ষার ব্যবস্থা বা যানবাহন। তারপরেও এই পেশাকে ভালবেসে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা পরিস্থিতির খবর প্রতিনিয়ত কোন কোন সংবাদ কর্মী তৃনমূল থেকে ছবি,তথ্য,ফুটেজ তুলে আনেন। যেমন আমার দেখেছি ভোলায় নিশেধাজ্ঞার পরও কিভাবে ট্রলার ,স্প্রীডবোট যোগে হাজার হাজার মানুষ ভোলায় প্রবেশ করে। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু কই সেই দিন আইন কোথায় ছিলো এমন প্রশ্ন উঠে? গনমাধ্যম কর্মীরা সংবাদ তুলে ধরার পরই দেখেছি কর্তৃপক্ষের তৎপরতা । যখন আমাদের কাছে সংবাদ আসে ভোলায় ট্রলার যোগে ঢাকা,নারায়নগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভোলায় আসছে, সেই খবর যখন আমরা আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানাই। তখন তাদের জনবল সল্পতাসহ নানা সংকটের কথাগুলো বলা হয়। আইন তখন কি বলে?? যখন আমরা দেখি চালের জন্য নাকের ডগায় শত শত নারী পুরুষ সামাজিক দূরুত্ব না মেনে হুমড়ি খেয়ে পড়ে, তখন তো কোন পদক্ষেপ দেখা যায়না! আমরা যখন দেখি আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য প্রকাশ্যে নাকের ডগায় ঘুরে তখন যদি কেউ মন্তব্য করে তা হলেই তো সাংবাদিকের দোষ! নাকি কিছু ব্যক্তির সাংবাদিক বিদ্বেষ? আমরা যারা ঝুঁকি নিয়ে করতে চাই তাদের সর্বত্র সহায়তা কাম্য। যদি কোন সংবাদকর্মী পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গেলে তাকে অসম্মানিত করা হয়, উল্টো ওই ঘটনার প্রতিকারের বদলে ভয় দেখানো হয় তাকে আমরা কি বলবো? সাংবাদিকরা কারো প্রতিপক্ষ না। আমরা কাউকে খাটো করতে চাই না, প্রশাসন আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহনীর সদস্যরাও এই দুর্যোগে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে। তাদের অবদানও কম নয়। কিন্তু কিছু কিছু অপ্রতাশিত ঘটনা কাম্য নয়।”

SHARE