ভোলাতে নয়, শ্বশুরবাড়িতে খুনি মাজেদের দাফন হয়”

মোঃ আশরাফুল আলমঃ
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর হয় এবং মরদেহ ভোলাতে নয়, তার শ্বশুর বড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে শম্ভুপুরা ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের একটি স্কুলসংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করে ভোলাকে কলঙ্ক মুক্ত করা হয়।
১১ এপ্রিল/২০২০ শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে আব্দুল মাজেদের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করা হয়। ফাঁসি কার্যকরের পর সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে তার লাশ ভোলায় পারিবারিক করবস্থানে দাফনের কথা ছিল। কিন্তু এম, পি আলী আজম মুকুলসহ স্হানীয় আওয়ামী লীগ ঘোষণা দেয় ভোলায় বঙ্গবন্ধুর খুনিকে দাফন করতে দেয়া হবে না।
দাফনের বিয়য়টি নিশ্চিত করে সোনারগাঁও উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, কেন্দ্রীয়ভাবে একটি টিম রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে মাজেদের মরদেহ আ্যাম্বুলেন্সে করে এনে দাফন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চলে যান। স্থানীয় প্রশাসনকেও তা জানানো হয়নি।
২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি রাতে সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও মুহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
এছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ খুনি এখনো পালিয়ে আছেন। তাদের মধ্যে এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী কানাডায় ও এ এম রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। অন্য তিনজন খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম ও মোসলেম উদ্দিনের অবস্থান সম্পর্কে সরকারের কাছে নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই। এ ছাড়া ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আরেক আসামি আজিজ পাশা ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান।

SHARE