ভোলা লালমোহন হা-মিম একাডেমির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে

লালমোহন প্রতিনিধিঃ

ভোলা লালমোহনের প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হামীম একাডেমির পরিচালক রুহুল আমিন পুকুর দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ময়লা আবর্জনা ও পোড়া মবিল রাতের অন্ধকারে ফেলে ২ লক্ষ টাকা মাছ মারা ও ক্ষতি সাধন করায় তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন। ২৩ মার্চ বিকাল ৪:০০ টা লালমোহন প্রেসক্লাবে পুকুর মালিকের ছোট ছেলে ভিপি রাসেল এ সংবাদ সম্মেলনে বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভিপি রাসেল বলেন, গত কয়েকদিন পূর্বে কোচিং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক একাডেমির দক্ষিণ পার্শ্বে এস এ ২৪ নং খতিয়ানে পুকুরটি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে পরিকল্পিত ভাবে পুকুরে ময়লা আবর্জনা ফেলে এবং প্রায় ২ লক্ষ টাকার মাছ মারিয়া ফেলেন।

বাড়ীর পশ্চিম পার্শ্বে পুকুরটিতেও গাড়ীর পোড়া মবিল, তেলসহ বিভিন্ন ময়লা ফেলে আশ পাশের লোকজনের ব্যবহারের অযোগ্য করেন রুহুল আমিন। উক্ত পুকুরটি আমার বাপ দাদার আমল থেকে ভোগ দখলে আছি। বর্তমানে উক্ত পুকুরে কয়েক লক্ষ টাকার মাছ রয়েছে।

এদিকে উক্ত পুকুর নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ মামলা মোকদ্দমা চলিতেছে আমার চাচা মফিজ তালুকদারের সাথে৤ রুহুল আমিন উক্ত মামলার ৩নং আসামী। যার মামলা নং-১২৮/১৯। মামলাটি চলমান অবস্থায় পুকুরটি রুহুল আমিন কিভাবে খরিদ করিয়াছে তাহাই এখন প্রশ্ন।

সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, একাডেমির পরিচালক রুহুল আমিন ওরপে “ভূমি দস্যু রুহুল আমিন” প্রভাব খাটিয়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে জোরপূর্বক পুকুরটি দখলের জন্য পরিকল্পিত ভাবে ময়লা ফেলিয়া মাছ মেরে ফেলেন।

সম্মেলনে রাসেল আরো বলেন, আমার বাবা মাছ মারার দাবীতে বিচারের জন্য স্থানীয় নেতা, শালিশ ও প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে অসহায় অবস্থায় ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং অসহায় অবস্থায় জীবন যাপন করছে।

লালমোহন হামীম একাডেমির পরিচালক রুহুল আমিন জিরো থেকে হিরো হয়ে লালমোহন উপজেলার বিভিন্ন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গদেরকে উপটৌকন দিয়ে মেনেজ করে নেন। বিগত জোট সরকারের আমলে তিনি বিএনপি করেছেন। আওমীলীগ সরকার ক্ষমায় আসার পরে রাতা-রাতি ভোল পাল্টিয়ে তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতিক কর্মী বনে যান।

আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পদ গ্রহন করে একাডেমী প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর সরকারি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদেরও রাজনৈতিক নেতাদের কে বিভিন্ন কলা কৌশলে ম্যানেজ করে একাডেমির দক্ষিণ পার্শ্বে বসবাসকৃত রোকেয়া বেগম স্বামী মোঃ আবু তাহের থেকে অন্যায় অত্যাচারের মাধ্যমে অল্প টাকায় জমি খরিদ করে তাহাকে উচ্ছেদ করেন।

সেই ধারাবাহিকতায় আমার বাবার ৬০/৭০ বছরের ভোগ দখলীয় আমার মাছ চাষের পুুকুরটি দখলের চেষ্টা করে মাছ মরার ধান্দায় লিপ্ত আছেন।

SHARE