ভোলা মনপুরার ধর্ষক রণি অবশেষে কারাগারে

মনপুরা প্রতিনিধিঃ-

ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলার বহিস্কৃত ছাত্রলীগ নেতা ধর্ষক রাকিব হাসান রণিকে অবশেষে কারাগারে প্রেরন করেছে আদালত। ধর্ষক রনি কয়েকদিন আগে হাই কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে মনপুরা আন্দন মিছিল ও মিষ্টি বিতরন করেছেন বলে জানা যায়।

উল্ল্যখ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে মনপুরার ধর্ষক ছাত্রলীগ নেতা রণি কে বহিষ্বারের সিদ্ধান্ত ও ভোলা জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধর্ষক রনিকে ধরিয়ে দেওয়ার নিদেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন,কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মমিন । মনপুরা উপজেলার সরকারি ডিগ্রি কলেজের সভাপতি রাকিব হাসান রনি একই কলেজের ছাত্রীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন । এ ঘটনায় ওই কলেজ ছাত্রী শুক্রবার রাতে মনপুরা থানায় রাকিবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার এজহার ও ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রী থেকে জানা যায়, ভিকটিম ও ছাত্রলীগ সভাপতির বাড়ি মনপুরা উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের চরযতিন গ্রামে। তারা একই কলেজে পড়াশোনা করেন। এক বছর আগে ওই ছাত্রীতে প্রেমের প্রস্তাব দেন রাকিব হাসান রনি। এতে রাজি হননি কলেজছাত্রী।

পরে ২০১৮ সালের ৬ জুন কলেজছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন রাকিব। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল।

গতবছর বছরের ১৪ এপ্রিল ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার কথা বলে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসতে বলেন রাকিব।সেখানে গেলে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করেন ছাত্রলীগ সভাপতি।

২ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে কলেজছাত্রীকে বিয়ে করবে বলে রাকিবের বাড়িতে আসতে বলা হয়। বাড়িতে গেলে ওই দিনও ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন রাকিব। সেই সঙ্গে বিয়ে করবে না বলে ছাত্রীকে বাসা থেকে বের করে দেন। ওই সময় ছাত্রী ঘর থেকে বের হতে না চাইলে তাকে মারধর করেন রাকিব। পরে স্থানীয়রা ছাত্রীকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন। এ নিয়ে শুক্রবার রাতে থানায় মামলা করেন কলেজছাত্রী।

এ বিষয়ে জানতে মনপুরা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সভাপতি রাকিব হাসান রনিকে মোবাইলে পাওয়া যায়নি।

মনপুরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ ফোরকান আলী বলেন, মনপুরা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সভাপতি রাকিব হাসান রনির বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছে কলেজছাত্রী। রনিকে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছন পুলিশ।

অবশেষ গত ৩ ফেব্রুয়ারী ধর্ষক রাকিব কে কারাগারে প্রেরণ করছে আদালত।

SHARE