ভোলার সিমাহীন শিক্ষা বানিজ্যের দায় নিতে অস্বীকার শিক্ষা কর্মকর্তা

শিক্ষা প্রতিনিধি#
ভোলা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাকিরুল হক সাফ জানিয়ে দিয়েছেন,অনুমোদন বিহীন সিমাহীন শিক্ষা বানিজ্যের দায় নিতে অস্বীকার করে বলেন তা দেখবে প্রশাসন। তারা কেমন মানের শিক্ষক দিয়ে পাঠদান করে, কি ধরনের বেতন নেন শিক্ষার্থীদের থেকে , কি ধরনের অপরাধ করেন তা দেখা প্রশাসনের কাজ, চাইলে প্রশাসন তা বন্ধ করতে পারেন।।

কোন প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনুমোদন ছাড়া পাঠদান করা সম্পূর্ণ বে আইনি এবং যদি অনুমোদন থাকে তবে অবশ্যই শর্তমেনে বিদ্যালয় পরিচালনা করতে হবে, নয় অনুমোদন বাতিল যোগ্য, কেননা সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই সরকার অনুমোদন দেয় মানুষের সেবার জন্য।।
শুধু মাত্র সরকারি ও এমপিও ভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আমার আওতায়ভূক্ত এছাড়া অনুমোদন বিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেখবে প্রশাসন।।

তিনি আরো জানান, সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার বিনামূল্যে পাঠ্যবই,উপবৃত্তি সহ সকল ধরনের সহযোগিতা সরকার করে আসছেন।

উল্লেখ্য, ভোলায় অনুমোদন বিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছড়া ছাড়ির অভিযোগ উঠে এসেছে, নামে বে-নামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে অনুমোদনহীন, পাঠদানবিহীন ও স্বীকৃতি বিহীন অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি চলছে শিক্ষা বাণিজ্য এবং প্রতারিত হচ্ছে সাধারন মানুষ অথচ নির্বাক হয়ে ঘুমিয়ে আছেন ভোলা প্রশাসন ও শিক্ষা কর্মকর্তাগণ।

অন্যদিকে এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাকে পণ্য করে বছরে ইচ্ছামত হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। সরকারি নিয়ম নীতিমালা ছাড়াই ইচ্ছামত গ্রহন করছে মাসিক ফি, পরীক্ষা ফি, আবাসিক ফি। সরকারি নীতিমালায় দুটি পরীক্ষা নেওয়ার কথা থাকলেও নেওয়া হয় তিন থেকে চারটি পরীক্ষা, মোটা অংকের পরীক্ষার ফি।

প্রাথমিক শিক্ষানীতিমালার বাহিরে থেকে শিশু শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের দিনে পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা পড়ানো অভিযোগ রয়েছে। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রাইভেট পাড়ানোর আদলে নেওয়া হচ্ছে মোটা অংকের টাকা।

এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অদক্ষ শিক্ষক দ্বারা পাঠদান করতে দেখা যায় শহরে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ঘুড়ে। বেশিভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী দ্বারা পাঠদান করা হয় এবং পাঠদান অনুমতি রয়েছে ৫ম বা ৮ম শ্রেনীর অথচ সেখানে ভর্তি করানো হয় কলেজ লেভেল পর্যন্ত। এমনকি কোথাও কোন অনুমতিই নেই সেখানে লিখে রেখা হয়েছে কলেজ, ইচ্ছামত লিখা হয় ক্যাডেট স্কুল কলেজ, এতে সাধারন মানুষকে হতে হয় হয়রানির স্বীকার। শিক্ষার্থীদের থেকে নূন্যতম নার্সারী থেকে একাদশ শ্রেনী পর্যন্ত মাসিক টাকা গ্রহন হয় ৬৫০০- ৮৫০০ টাকা পর্যন্ত।।

বেশ কয়েক জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ এ বিষয়ে শিক্ষা বিভাগ ও ভোলা প্রশাসনের উদাসিনতাকে দায়ী করছেন।

ভোলা জেলা বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান;-
১. হা- মিম স্কুল এন্ড কলেজ,লালমোহন। (৮ম শ্রেণীর পর্যন্ত অনুমোদন প্রাপ্ত তবে অনুমোদনের শর্ত না মানার অভিযোগ রয়েছে)

(কোন অনুমোদন নাই)
২. গ্রীন ভিউ স্কুল এন্ড কলেজ, কুঞ্জের হাট, বোরহানউদ্দিন।
৩ ইসলামি একাডেমি,কুঞ্জের হাট,বোরহানউদ্দিন।
৪.বাদশাহ মিয়া একাডেমি,লালমোহন।
৫.ভোলা রেসিডেন্সি ক্যাডেট স্কুল এন্ড কলেজ, ভোলা।
৬.ভোলা মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, ভোলা।
৭.ইংলিশ স্কুল এন্ড কলেজ,ভোলা।
৮.হোসাইনিয়া ক্যাডেট মাদ্রাসা, ভোলা।
৯.আর্দশ একাডেমি, ভোলা।

৮.#ভোলা হোসাইনিয়া মাদ্রাসা# (৮ম পর্ব)
ভোলার হোসাইনিয়া মাদ্রাসাটি কিন্ডারগার্ডেন ভিত্তিক শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অথচ ভর্তি চলছে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে হতাশাজনক বলে জানিয়েছেন ভোলার অনেক সুধিজন ও অভিভাবক মহল। মাদ্রাসাটি ভোলার প্রান কেন্দ্র যুগিঘোল এলাকা অবস্থিত। দৈর্ঘ্য দিন যাবত এ কিন্ডারগার্টেনটি অতিব সুনামের সহিত পাঠদান করে আসছেন বলে জানা যায়, তবে বছর থেকে আবার ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে ভর্তি কার্যক্রম চালিয়েছেন। মাদ্রাসা হলেও প্রতিষ্ঠানটি পাড়ানো হয় স্কুল সিলেবাসের বই এবং বিকালে বিদ্যালয় শিক্ষক কর্তৃক কোচিং সেন্টারের পরিচালনা করা খবরও জানা যায়।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিরিন আক্তার জানান,হোসানিয়া মাদ্রাসাটি কোন অনুমোদন নেই শুধু শিক্ষার্থীদের তালিকা নিয়ে সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার নিতিমালা মেনে পরীক্ষা অংগ্রহনের অনুমতি প্রদান করা হয়। এ প্রতিষ্ঠানটি কিন্ডারগার্টেন, আমার অধিভূক্ত ও নয়, তাদের নিয়ম অনিময় ও কোচিং বানিজ্য দেখবে প্রশাসন।

হোসাইনিয়া মাদ্রাসা সহ প্রধান শিক্ষক জানান,আমাদের প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষা বানিজ্য চলছে না,আমরা ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি করেছি অন্য বিদ্যালয় দিয়ে পরীক্ষা দেওয়াবো, অনুমোদনের চেষ্টা চলছে।

বিস্তারিত প্রশাসনের বক্তব্য নিয়ে….. ৯ম পর্বে

SHARE