ভোলায় অবসরপ্রাপ্ত গুপি দাস দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে মনপুরা কৃষি অফিসে চাকুরীরত

আল মাহামুদঃ-
ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলার কৃষি অফিসের উপ – সহকারী কৃষি অফিসার গুপি নাথ দাসে অবসর গ্রহন করেন অথচ আজও তিনি অফিসে করেন, সকল স্থানীয় কর্তা ব্যক্তিদের মেনেজ করে আজ ভোলা নিউজের ক্রাইম চোখে এমনটাই উঠে আসলো এবং তাকেই সবাই বড় বাবু বলে জানেন।

গুপির বিরুদ্ধে এ বছরের স্বরণকালের সেরা দূর্নীতির অভিযোগ করেছেন মনপুরা সাধারন জনগন । উপজেলা কর্মকর্তা না থাকায় গুপিনাথ একজন সাধারন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার হয়ে নিজেকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলে দাবী করতেন বলে জানা যায় এবং সবাই তাকে বড় বাবু বলে জানেন।

এদিকে সার বাবসায়ীরাও অভিযোগ করেছেন প্রায় ৫৮ জনের কাছ থেকে গুপি নাথ সারের লাইসেন্স করানোর কথা বলে জামানত গ্রহন করে নিজের ব্যাংক একাউন্টে জমা দেন এবং সরকারি টাকা গোপন করেন । প্রতিজনের কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা করে প্রায় ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা লুটে নিয়েছেন এ বড় বাবু ।

জামানতের টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও সরকারি সৈই টাকা জমা দেয়নি অথচ ভূয়া রশিদ দিয়ে প্রতারনা করছেন বলে জানিয়েছেন, বেশ কয়েকজন ভুক্তভুগী ।

এমন কি ঔষদের লাইসেন্স সরকারি খরচ ২৫০ টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও,লাইসেন্সর জন্য গুপি নাথা ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার পর্যন্ত ঘুষ বানিজ্য করেছে অথচ তাও আবার দিয়েছে ভূয়া লাইসেন্স। আরার বছরে সার্ভিস চার্জের নাম করে করে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অংকের টাকা।

এদিকে গুপি দাস অবসরে যাওয়ার পর ভারতে চলে যাবেন এমন তথ্য জানাজানি হলে ৪৫জন ব্যাসায়ী এক হয়ে গুপি নাথের দেওয়া ব্যাংকে জামানত রশিদ যাচাই করতে মনপুরা সোনালী ব্যাংকে গিয়ে রশিদ যাচাই করলে ফাঁস হয় এ দূর্নীতিবাজ গুপি বাবুর দূর্নীতি।

তখন অসহায় ব্যাবসয়ীগন সবাই এক হয়ে থানা নির্বাহী অফিসারকে জানান এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঠিক সমাধান করার আশ্বাস প্রদান করেন এবং মনপুরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ১সপ্তাহের মধ্যে সমাধান করার নির্দেশ প্রদান করেন।

ব্যসায়ীগন ও সাধারন জনগন আরো অভিযোগ করেছেন, দূর্নীতিবাজ অফিসার গুপি স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের ও সাংবাদিকদের মেনেজ করে কৃষকের জন্য আসা নানা কৃষি উপকরণ উপহার হিসাবে দিয়ে সব কিছু ধাপা চাপা দিয়ে থাকেন এবং সাধারন মানুষ কোন সেবা পায়নি এ বড় বাবুর কাছ থেকে।

স্থানীয় জনগন ধরনা করছেন, এ দূর্নীতির সাথে কৃষি অফিসের বড় ধরনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ জড়িত থাকতে পারে।।

অন্যদিকে গুপি দাস জানান,আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না, বলে ফোনের লাইন কেটে দেন।

এ বিষয়ে মনপুরা উপজেলা কৃষি অফিসার মুঠো ফোনে জানান, আমি ইতোমধ্যে ৬ লক্ষ টাকা গুপি বাবুর কাছ থেকে নিয়ে ব্যবসীদের পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি এবং বাকি সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করছি।

পাশাপাশি আমি ভোলা কৃষি উপ পরিচালক মহোদয়কে জানিয়েছি, তবে লিখত দেইনি। গুপি দাস অবসরে যাওয়া পরেও তিনি এখন কিভাবে অফিস করেন জানতে চাইলে?? তিনি প্রথমে বলেন অফিস করে না, পরে ভোলা নিউজের প্রতিনিধি দলের গুপি নাথ অফিসের তোলা ছবির প্রমান থাকার কথা জানালে,মনপুরা উপজেলা কর্মকর্তা তখন বলেন,এখনো ক্লিয়ারেন্স নেওয়া হয়নি তাই অফিস করেন।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি উপ পরিচালক কাছে জানতে চাইলে, মুঠোফোনে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার সাথে সাথে লাইন কেটে দেন।

উল্লেখ্য, গুপি নাথ মনপুরা উপজেলায় এক টানা প্রায় ৩২ বছর কতৃপক্ষকে মেনেজ করে চাকুরী করেন,গত নভেম্বর ২০১৯ সালে তিনি অবসর গ্রহন করেন,অথচ এখনো তিনি অফিস করেন যা সম্পূর্ণ বে আইনি। জানাযায় গুপি দাস ভারতে নিজের স্ত্রী ও পরিজনদের জন্য তিনটি বাড়ীসহ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন । তার ছেলে মেয়েরা ভারত লেখা পড়া করেন এবং পেনশনের টাকা তুলে গুপি নাথ উধাও হবেন ভারত পথে এমনটা জানিয়েছেন স্থানীয় জনগন।

SHARE