তজুমদ্দিনে সমাপনী পরীক্ষায় অনুপস্থিত ২৪৬ জন

মাহমুদুল হাসান
তজুমদ্দিন প্রতিনিধিঃ

সারা দেশের সাথে একযোগে ভোলার তজুমদ্দিনে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু।প্রথম দিনেই শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা অনুষ্টিত হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়ে পরীক্ষা চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত।

বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবছর ৩৪টি মাদ্রাসা থেকে ৬শত ৭১জন শিক্ষার্থী প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা থাকলেও অনুপস্থিত রয়েছে ১০৪জন শিক্ষার্থী। অপরদিকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় ১১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২হাজার ৩শত ৮৮জন শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রথমদিনে অনুপস্থিত ছিলেন ১৪২জন শিক্ষার্থী।

সমাপনী পরীক্ষার প্রথমদিনে ইংরেজী বিষয়ে মোট ৩০৫৯ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়ার থাকলেও অনুপস্থিত ছিল ২৪৬ জন পরীক্ষার্থী।

অভিযোগ রয়েছে স্বতন্ত্র-ইবতেদায়ী মাদ্রাসা ও আনন্দ স্কুলের নিজস্ব কোন শিক্ষার্থী না থাকায় কেন্দ্রগুলিতে অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী ও ‘রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন’(রস্ক) প্রকল্পের আওতায় আনন্দ স্কুলের অধিকাংশ পরীক্ষার্থীই প্রক্সি পরীক্ষার্থী।

জানতে চাইলে দক্ষিণ পশ্চিম রাজকৃষ্ণসেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ মাওঃ মোঃ নুরনবী স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় প্রক্সি পরীক্ষার্থী রয়েছে স্বীকার করে তিনি বলেন, সরকার আমাদেরকে এবছর নতুন করে সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়ায় মাদ্রাসাগুলোর নিজস্ব শিক্ষার্থী না থাকায় অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থী নিয়ে সমাপনী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করানো হয়। তার মাদ্রাসার বিষয়ে তিনি বলেন, আমার মাদ্রাসার ৭ জনের মধ্যে আমিও কিছু নিছি বাহির থেকে।

আনন্দ স্কুলের উপজেলা ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর মোঃ বেলাল হোসেন বলেন, আমি শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করার পর তারা বলছে তাদের প্রকৃত শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। আমি শিক্ষার্থী ডিয়ারভূক্ত হওয়ার পর যোগদান করায় এ সম্পর্কে ভালো বলতে পারবো না। তবে আনন্দ স্কুলের কোন স্কুল ঘর নেই সেটি তিনি অকপটে স্বীকার করেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নুরুল ইসলাম বলেন, আসল পরীক্ষার্থী না প্রক্সি পরীক্ষার্থী তা দেখা আমাদের দায়িত্ব নয়। তারা হচ্ছে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আওতায় আমাদের মাধ্যমে শুধু রেজিষ্ট্রেশন হয়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শওকত আলী বলেন, এসব পরীক্ষার্থীদের ডিয়ারভূক্ত করছেন প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। যারা পরীক্ষা দিচ্ছেন তারা প্রক্সি না আসল পরীক্ষার্থী সেটা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসই ভাল বলতে পারবে।

SHARE