ভোলার তজুমদ্দিনে নারী নির্যাতনের অভিযোগ

মাহমুদুল হাসান#
ভোলা তজুমুদ্দিনে গৃহবধূর ওপর অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত গৃহবধূকে উদ্ধার করে লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা যায়, তজুমুদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের কোরালমারা গ্রামের ইয়াসিনের ছেলে আজগরের সাথে লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের বালুরচর গ্রামের বজলুর মেয়ে রিনা আক্তারের ২০১৫ সালে বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের সময় বরপক্ষের দাবি অনুযায়ী নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও অন্যান্য মালামাল দেয়া হয়। কিন্তু তাতে খায়েশ মিটেনি যৌতুক লোভী এ পরিবারটির। গৃহবধূ রিনাকে তার বাপের বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে চাপ দেয়া হয়। তাতে সে রাজি না হলে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে পাষন্ড স্বামী ও তার পরিবার। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয় গৃহবধূ রিনার ওপর। কন্যার সুখের কথা চিন্তা করে বজলু দাবি অনুযায়ী টাকা দেয়। কিন্তু তাতেও বন্ধ হয় না গৃহবধূর ওপর নির্যাতন ও যৌতুকের দাবি। একবার এক অছিলায় টাকার দাবি করে রিনার কাছে। রিনাকে নিয়ে আজগর চিটাগাং থাকা অবস্থায় অটোরিক্সা কেনার জন্য টাকা চায়। তাতে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অন্যের সাথে সময় কাটিয়ে টাকা এনে দেয়ার জন্য বলে পাষন্ড স্বামী। এসব শুনে অটোরিক্সা কেনার জন্য কন্যার বাবা টাকা দেয়। হোন্ডা কেনা, জমি নগদ ও বন্ধক রেখে চাষ করা, বিদেশ যাবে এমন কথা বলে বিভিন্ন সময় প্রায় দশ লাখ টাকা নেয় রিনার বাবার কাছ থেকে। এতেও সন্তুষ্ট হতে না পেরে আরো দুই লাখ টাকার দাবিতে রিনাকে মারধর করে। টাকা না দিলে পরকিয়া প্রেমিকাকে বিয়ে করবে বলে হুমকি দেয়। আজগর মাদক সেবন করে বলে অভিযোগ রয়েছে। গত ১১ নভেম্বর গৃহবধূ রিনাকে পাষন্ড স্বামী আজগর, শ্বশুর ইয়াসিন, শ্বাশুড়ি নুর জাহান বেদম পিটিয়ে ঘরের ভেতর আটকে রাখে। খবর পেয়ে সেখানে গেলে রিনার বাবাসহ কয়েকজনকে মারপিট করে। আহত গৃহবধূ রিনাকে উদ্ধার করে লালমোহন হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। কন্যার ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদ করায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বলে জানান হতভাগ্য পিতা বজলু। আহত গৃহবধূ ও তার পিতৃ পরিবার এ ঘটনায় ন্যায় বিচার দাবি করেন।

SHARE