ভোলায় দুলারহাট থানার ট্রলার ডুবি নিখোজ-১৪

মনজু ইসড়লাম/ মাসুদ রানাঃ

ভোলায় ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র প্রভাবে দেড় শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। ঝড়ের কবলে পড়ে মেঘনার ইলিশা পয়েন্টে ২৪ জেলেসহ একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। পুলিশ ও কোষ্টগার্ড ১৪ জেলেকে উদ্ধার করলেও এখনো ১০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তবে সদর থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানিয়েছেন পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সারের নেতৃত্বে মোট ৮ জন উদ্ধার হয়েছে। ট্রলারটি স্রোতে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় নিয়ে গেছে। কোস্টগার্ড ডুবন্ত ট্রলারটি উদ্ধারের চেষ্টা চারিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে উদ্ধার কৃত প্রত্যেকের বাড়ি চরফ্যাশনের দুলারহাট থানার নুরাবাদ ইউনিয়নে বলে জানিয়েছেন ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার।
এদিকে দুলারহাট থানার ওসি মিজানুর রহমানকে একাদিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অন্য পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে তিনি ট্রলার ডুবিতে নিখোজ মাঝিদের চরফ্যাশনের বাসিন্দা বলে জামেলা এড়ানোর চেষ্টে করছেন।

শনিবার (০৯ নভেম্বর) রাত থেকে রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত কয়েক দফা ঝড়ে লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলায় এ ক্ষয়ক্ষতি হয়। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো হলো- এবং চরফ্যাশন উপজেলার এওয়াজপুর, নজরুল নগর, ওসমান গঞ্জ ও কলমি এবং লালমোহন উপজেলার গজারিয়া ও চর পেয়ারী মোহন ও লর্ডহাডিংজ।
লালমোহন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাবিবুল হোসেন রুমি বলেন, ঝড়ে উপজেলার দুটি ইউনিয়নে ১৭টি ঘর সম্পূর্ণ এবং ২০টি ঘর আশিংক বিধ্বস্ত হয়েছে। আহত হয়েছেন ১০ জন।
চরফ্যাশন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল আমিন জানান, ঝড়ে উপজেলার চারটি ইউনিয়নের শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়াও আব্দুলপুর ইউনিয়নের একটি ট্রলার সদরের ইলিশা পয়েন্টে ডুবে গেছে। এতে পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছে বলে প্রথমিক ভাবে আরা শুনেছি।

এদিকে, সকাল থেকেই সমগ্র জেলার উপর দিয়ে ভারী বর্ষণ ও ঝড় বয়ে গেছে। এতে বাঁধের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জেলায় ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টির কারণে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভেসে গেছে অনেকের ঘেরের মাছ।
আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বরত অবজারবার মাহাবুব রহমান জানান, বুলবুল অনেক দুর্বল হয়ে গেছে। যার প্রভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সকালে ১০ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ভোলায় ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে।

মনিরুল ইসলাম
ভোলা-১০.১১.১৯

SHARE