গ্রিন লাইন সার্ভিস চালুকরার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ভোলাবাসি

মাহিয়ান হিমেল#
ভোলা-ঢাকা রুটে দ্রুতগামী নৌযান গ্রিন লাইন সার্ভিস চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রনালয়। এ সার্ভিসটি চালু হলে নৌপথে দিনের বেলায় খুবই দ্রুত সময়ে রাজধানীতে যাতায়াত করতে পারবে ভোলার মানুষ। এতে সময় এবং ভোগান্তি দুটোই কমে যাবে । ইলিশা থেকে ৩ ঘন্টায় ১১৫ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ঢাকায় যাবে গ্রীন লাইন। পাশাপাশি এ সিদ্ধান্তকে স্বাগতম জানিয়েছেন ভোলাবাসী।

গ্রিন লাইন সার্ভিস চালুর দাবি ভোলাবাসীর দীর্ঘদিনের। যা খুব শিগগিরই বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ খবরে লঞ্চে যাতায়াতকারী অনেক সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

ভোলার জেলা প্রশাসক মাসুম আলম ছিদ্দিক বলেন, ভোলা-ঢাকা রুটে গ্রিন লাইন সার্ভিস চালুর সিধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে লক্ষ্মীপুরের মতিরহাট পয়েন্ট ফেরীঘাট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যেই এ সার্ভিস দু’টি চালু হবে।

তিনি জানান, প্রতিদিন ভোলার ইলিশা থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট এবং ঢাকা থেকে সকাল সাড়ে ৮টায় ছেড়ে যাবে গ্রিন লাইন। এতে করে দিনের বেলায় যাতায়াত করতে পারবে দক্ষিণাঞ্চেল মানুষ। আগে ভোলার মানুষকে ঢাকায় যেতে হতো রাতের বেলায়।

গ্রিন লাইন চালুর লক্ষে ইলিশায় একটি টার্মিনাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) একটি টার্মিনাল স্থাপন করবে।

এদিকে, গ্রিন লাইন চালু হলে সময় অনেক কম লাগবে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিটিএ উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান। সাধারন গতির লঞ্চ সদর ঘাট থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা ছেড়ে দুটি মুন্সিগঞ্জ ও কালিগঞ্জ ঘাট ধরে রাত ১০ টায় ইলিশা পৌঁছায় সেক্ষ ৬ ঘন্টা সময় লাগলেও দ্রুত গতির গ্রীন লাইনে সময় অর্ধেক কমে যাবে। লঞ্চ মালিকরা বলেছেন, ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘন্টায় ঢাকায় পৌঁছাবে ভোলার যাত্রীরা।

তিনি বলেন, ভোলার খেয়াঘাট থেকে ঢাকার নৌ পথের রুটে দুরত্ব ১৫৫ কিলোমিটার। কিন্তু গ্রিন লাইন যাবে ইলিশা ঘাট থেকে সেখানে ৪০ কিলোমিটার কমে যাবে। সেখানে ১১৫ কিলোমিটার পথ ঘন্টায় ৩৫ কিলোমিটার বেগে চালালেও সর্বোচ্চ ৩.৩০ ঘন্টায় ঢাকায় পৌঁছুবে গ্রীন লাইন।

ভোলা থেকে নৌ-পথে লক্ষ্মীপুরের দুরত্ব ২৬ কিলোমিটার। সেখানে মজু চৌধুরীর ঘাট থেকে মতিরহাট এলাকায় ফেরীঘাট স্থাপন করা হলে সেখানে দুরত্ব কমে যাবে ১২ কিলোমিটার।

জানা গেছে, রাজধানীর সঙ্গে ভোলার নৌ-পথে যোগাযোগের একমাত্র সহজ মাধ্যম নৌযান। প্রতিদিন এ পথে জেলা সদরসহ জেলার সাত উপজেলা থেকে ১৪টি লঞ্চ চলাচল করে। উভয় স্থান থেকে রাতেই এসব লঞ্চ চলাচল করে। ভোরে গন্তব্যে গিয়ে পৌঁছায় এই অঞ্চলের ভেসে চলা মানুষ।

SHARE