ভোলার নির্বাচন বনাম পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
এক সময়ের চীর অশান্ত সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়ন কিংম্বা ভেদুরিয়া। যেখানে নির্বাচন মানেই খুন খারাপি আর হত্যা। ভোলার লালমোহন নির্বাচন মানেই ছিলো ধর্ষণ আর লুটপাটের রাজনিতি। সব ছাপিয়ে এবার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার।

ভোটের রাজনিতিতে চীরচেনা অশান্ত লালমোহনের পৌর নির্বাচন। সকাল বেলায় এমপির বোনের ছেলে গ্রেফতার। পাল্টে গেলো লালমোহনের ভোটের দিনের আইন শৃংখলার চিত্র। নিরবিচ্ছিন্ন ভোট গ্রহন শুরু। এ যেন চীরচেনা বাংলাদেশের ভোটের রাজনিতিতে বিপরীত এক চিত্র। যেখানে জোড় যার মুল্লুক তার পরিবর্তে ভোট যার কেন্দ্র তার এই মন্ত্রে পরিনত হয়েছে পুরো ভোলার নির্বাচনী মাঠ।
ভোটের ২ দিন আগে ভোলার সাংবাদিকদের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় পুলিশ সুপার যে নজিরবিহীন নির্বাচনের ইংগিত দিয়ে ছিলেন তার অর্থবহ প্রমান রাখলেন ভোটের মাঠেও।
কোন প্রকার সহিংসতা ছাড়া শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন ই করেননি তিনি সারা বাংলাদেশকে একটি বার্তা দিয়েছেন কিভাবে লোভ লালসার উর্ধ্বে উঠে সফল ও সার্থক নির্বাচন করা যায়। ভোলার নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন একজন পুলিশ সুপারের দ্বারা কখনো এমন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। যদি তার পুরোবাহীনি ঠিক না থাকে। ভোলার পুলিশ সুপার ভোলায় যোগদানের পর যে যায়গাটিতে বেশি মনোযোগ দেন সেটি হলো আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা। আর এতে যে জিনিসটিতে বেশি গুরুত্ব দেন তা হলো পুলিশের চেইন অব কমান্ড শক্তিশালীকরণ। আর এ লক্ষে তিনি প্রথমে সকল থানার ওসিদের উপর ক্রাইম কনফারেন্সের নামে যে অনৈতিকতার লাগাম টানা ছিলো তা থেকে ওসিদের মুক্ত করে দেন প্রথম সভায়। ঘোষনা দেন এসপির জন্য সরকার বেতনের ব্যবস্থা করেছে আপনাদের কোন অনৈতিক সুবিধা ভোলার পুলিশ সুপারের প্রয়োজন নেই। তার প্রথম ক্রাইম কনফারেন্সের এক ঘোষনায় ফিরে পায় ভোলা পুলিশের হারানো চেইন অব কমান্ড। আর এই পুঁজির সফলতাই ভোলার স্বরণকালের এই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার ভোলায় যোগদানের পর পুলিশে নিয়োগ থেকে শুরু করে হত্যা, ধর্ষন ও মাদক নির্মূল পর্যন্ত অদ্যবধি নিরবিচ্ছিন্নভাবে যে কাজ গুলো করে যাচ্ছেন এ ভোলা দ্বীপের মানুষগুলোর জন্য। এটা সারা বাংলার পুলিশ অফিসারদের জন্য একটি নৈতিক বার্তা হিসেবে কাজ করবেন বলে মনে করছেন ভোলার সামাজিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

SHARE