ঠুমকো বিষয় নিয়ে উত্তাল ভোলা, ভয়াবহ সংর্ঘষের আসংঙ্কা

বিপ্লব রায় ॥
ভোলার বাপ্তাগ্রামে মাকতুবাতুল ফোরকানিয়া আহলে হাদিস জামে মসজিদে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মঙ্গলবার ১৯ আসামীকে জামিন বাতিল করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। অপরদিকে জামিন মঞ্জুর না হওয়ার প্রতিবাদে ঈমান আকিদা সংরক্ষন কমিটির ব্যানারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহরে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন এবং জেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপী দেন।

এদিকে গত একসপ্তাহ ধরে এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভোলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে উভয় পক্ষই ১ পক্ষ অপর পক্ষকে অভিযুক্ত করেন। আহলে হাদিস কমিটির সম্পাদক কামরুল ইসলাম জানান গত বছরের ১১ জুলাই ব্যবসায়ী জাকির হোসেন, তার ভাই কামাল হোসেন, জামাল হোসেন, রফিকুল ইসলাম ও সাবেক মেম্বার মোঃ ছগিরের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং ঐদিন সন্ধায় ফের আগুন লাগিয়ে দেয়। ঐ ঘটনায় ২৫ জনকে আসামী করে মামলা দেন মসজিদ কমিটি। পুলিশ ইনভেস্টিগেশন অব ব্যুরো (পিবিআই) বরিশাল জোনে একটি টিম এই মামলার তদন্ত করে। সেই মামলায় ঈমান আকিদা সংরক্ষন কমিটির ২৫ জন আসামী আদালতে হাজির হলে তাদের ১৯ জন আসামীকে জামিন বাতিল করে জেলা হাজতে পাঠান। এদিকে ঈমান আকিদা সংরক্ষন কমিটি এরই প্রতিবাদে পরপর দুদিন শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আল্লাহর জমিনে প্রকৃত ইসলাম কায়েম করার জন্য ঈমান আকিদা সংরক্ষন কমিটি জেহাদ করে যাবে। বক্তারা প্রশাসনকে বলেন ইসলামের প্রকৃত অনুসারী হলে তারা তারাবীর নামাজ ৮ রাকাত, এশার বেতের নামাজ ১ রাকাত, নাভির উপরে হাত না বেধে তারা বুকের উপর হাত বাধা, নামাজের ওয়াক্তের ১৫ মিনিট আগে নামাজ আদায় করা, রমজানে ১৫ মিনিট আগে আজান দিয়ে ইফতার করা সহ নানান আচরনে মুসল্লীদের নামাজে বিরক্তি ঘটানো সহ হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর নাম ভিন্নভাবে প্রকাশ করা সহ নানান বিষয়ে ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ড আহ্লে হাদীস গ্রুপ করছে। এতে সমাজে ফেতনাহ সৃষ্টি হতে পারে, তাই আহ্লে হাদীস গ্রুপকে ইসলামী বিরোধী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানান। বক্তারা প্রশাসনের কাছে সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ঈমান আকিদা সংরক্ষন কমিটির দাবী সমূহ মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান। ঈমান আকিদা সংরক্ষন কমিটি নেতৃবৃন্দ ও আহ্লে হাদীস গ্রুপ এর পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন, পাল্টাপাল্টি মামলা দিয়ে হয়রানী হওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

প্রশাসন কঠোরস্তে শান্তি শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে রাখতে পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

অন্যদিকে ভোলার আইনজীবীরা মনে করেন,আইন তার নিজের গতিতে চলবে। এতে বিধি অনুযায়ী জামিন দেয়া না দেয়া আদালতের বিষয়। এ নিয়ে চাপ দেয়া মিছিল মিটিং করা সম্পূর্ন বে আইনি।

SHARE