ভোলায় বাসর রাতে শিক্ষক মনির হত্যা,আজও জনমনে নানা প্রশ্ন।

বিশেষ প্রতিনিধি এইচ এম জাকিরঃ
ভোলার ইলিশায় বাসর রাতেই স্কুল শিক্ষকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবী হত্যা। শশুর পক্ষের দবী আত্নহত্যা। তবে ওই রাতে ওই ঘরেই স্ত্রীর প্রেমিক ছিলো সন্দেহের তীর এখন ওই ভাইয়ের দিকে।

বাসর রাতেই মনির হোসেন (২৮)নামে এক স্কুল শিক্ষকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে ভোলা সদর উপজেলার ২ নং ইলিশা ইউনিয়নের পরানগঞ্জ বাজার এলাকায় তার নিজ বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় নিহত মনিরের মরদেহ। শিক্ষক মনির ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা আমিনুল মাষ্টারের ছেলে। সে রাজাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।

নিহত স্কুল শিক্ষকের ভাই এনামুল হক সবুজ জানান, আমার ভাইকে রাত ১২ টার সময় বাসর ঘরে দিয়ে আমরা ঘুমিয়ে পরেছি। সকালে ডেকোরেশন এ-র লোক এসে দেখে গলায় ফাশ অবস্থায় আমার ভাই ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় আছে, পরে তার ডাক চিৎকারে আমরা বের হয়ে পুলিশকে খবর দেই। এরপর পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ।
তিনি আরো বলেন, আমার ভাই এভাবে মারা যেতে পারে এটা আমরা কখনো ভাবতেই পারিনি। আমাদের ধারনা নববধূ কর্ণার সাথে কোন বিষয় নিয়ে কিছু হয়েছে। মৃত্যুর পরে আমাদের পরিবারের লোকজন যখন শোকে মাতোয়ারা, ঠিক তখনো নববধুকে হাস্যোজ্জ্বল অবস্থায় দেখা যায়।

এ দিকে নববধূর আচরণে স্থানীয়রা নববধূর দিকে সন্দেহের তীর ছুরলেও নববধূ জয়নব বিবি কর্ণা জানান, রাত ৩ টার দিকে আমার কাছ থেকে উঠে গেছে ওয়াশ রুমে। বাসর ঘরেই ওয়াশ রুম থাকতে বাহিরে গেলো কেনো এমন প্রশ্নে বিচলিত হয়ে উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে গেলেন কর্ণা।

তবে এ মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য কি সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে স্থানীয়দের মাঝে।
এ ব্যপারে ঘটনাস্থলে আসা ইলিশা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শ্রী রতন বলেন, আমরা নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠাবো। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলেই বলা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।

এখনও বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনার নিজে জনমনে নানা প্রশ্ন তুলছে সাধারন মানুষ।

SHARE