ভোলার শিল্পকলায় গঠনতন্ত্র বিরোধী আরেকটি নির্বাচনের আয়োজন

ইভান তালুকদারঃ
৭ বছর পর ভোলার শিল্পকলা একাডেমির নির্বাচন আয়োজন করা হয়েছে। নির্বাচনকে ঘিরে ভোলার সাংস্কৃতিক অঙ্গনে প্রাণচাঞ্চল্য বিরাজ করলেও বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে নির্বাচন প্রক্রিয়া, ভোটার তালিকা প্রস্তুত করণসহ গঠনতন্ত্র বিরোধী নানা অনিয়ম নিয়ে। ৩১ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটার হতে সদস্যপদে আবেদন করেছেন ১৪৮ জন। কোন প্রকার যাচাই বাছাই ছাড়াই সবাইকে ভোটার বানিয়ে দিয়েছেন নয়া কর্মকর্তারা। কালচারাল কর্মকর্তা তানভির রহমান জানান আবেদনে কেউ বাদ না পরায় ১৪৮ জনই ভোটার হয়েছেন। ভোলা শিল্পকলা একাডেমির সর্বশেষ নির্বাচিত সম্পাদক এডভোকেট নজরুল হক অনু ভোলা নিউজকে বলেন, ভোলা শিল্পকলার ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হয়। এ সময় ৬০০ জন ভোটার হবার আবেদন করেন যাচাই বাচায় করে এই ৬০০ জনের মধ্যে মাত্র ৪৮ জনকে সদস্য করা হয়। আর এই তালিকা ভুক্ত সদস্যদের নিয়েই নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়েছিলো। অপর সাড়ে ৫শ’ আবেদন কারীর আবেদন ফি ও মাসিক চাঁদার টাকাও ফেরত দেয়া হয়নি গত ৭ বছরে। এ নিয়ে আবেদন কারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। কলেজ শিক্ষক জাকির হোসেন ও ধ্রুব হাওলাদার জানান, তারা ২১২ সালে সদস্য ফরম ফিলাপ করে ৩ বছরের চাঁদাও পরিষদ করে ছিলেন কোন অজানা কারনে তাদের সদস্য করা হয়নি তা আজও জানতে পারেননি তারা, এমনকি অদ্যবধি সেই টাকাও ফেরত পাননি তারা। এদিকে গঠনতন্ত্র বিরোধী নির্বাচন করতে গেলে ভোলার শিল্পকলার নির্বাচন ভোলার প্রেসক্লাবের নির্বাচনের মত আদালত পর্যন্ত গড়াতে পারে বলেও হুশিয়ার করেছেন সদস্য পদ না পাওয়া কয়েক জন এডভোকেট ও শিল্পকলার নির্বাচিত সম্পাদক এডভোকেট নজরুল হক অনু। ভোলার ব্লাক লিষ্টেড শিপ্লকলায় গঠনতন্ত্র মেনে একটি গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে ভোলার মৃতপ্রায় শিপ্লকলায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে এবং শিল্পকলা হবে প্রতি শিল্পির প্রাণের সংগঠন এমনটাই প্রত্যাশা ভোলার তৃণমূল সাস্কৃৃতিক কর্মীদের।

SHARE