কোটি টাকা পৌরকর দিয়েও পৌরসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে – পৌরবাসী।

অজুন চন্দ্রঃ-
গত ১৪ই জুলাই থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দুটি মৌলিক দাবী নিয়ে লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট করছে “বাংলাদেশ পৌর কর্মচারী এসোসিয়েশন”। এসোসিয়শনের ভোলা জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভোলা নিউজকে বলেন,আমাদের দুটি মৌলিক দাবী। প্রথম ও প্রধান দাবীটি হলো সরকারি কোষাগার থেকে বেতন ভাতা দিতে হবে, আর দ্বিতীয়টি হলো পেনশন চালু করা। তিনি ভোলা পৌর সভার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমাদের পৌরসভার যে আয় হয় তাদিয়েই কর্মকর্তা-কর্চারীর বেতন পরিশোধ করা সম্ভব। কিন্তু মেয়র সাহেব বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে সে অর্থ ব্যায় করেন বিধায় আমাদের বেতন বাকী থেকে যায়।

এমনও পৌর সভা আছে যেখানে ৩-৬ বছর পর্যন্ত কর্মচারীরা বেতন না পেয়ে কঠিন মানবেতর জীবনযাপন করছে। যার মধ্যে ভোলা জেলার লাল মোহন পৌর সভার কর্মচারিরাও গত ৩৬ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেনা। বাংলাদেশ পৌরসভা কর্মচারি এসোসিয়েশনের কেন্দ্রিয় সভাপতি আব্দুল হালিম ও সাধারন সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম সহ শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী আন্দোলন করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং গত ১৭ ই জুলাই রাত ৮.০০টায় অান্দোলনরত অবস্থায় মৃত্যু বরন করেন চুনারঘাট পৌরসভার সচিব মোবারক আলি।

এর মৃত্যুতে আন্দোলন আরো বেগবান হয় এবং সকল পৌরসভার মেয়র গণ আন্দোলনকারীদের সাথে একাত্বতা ঘোসনা করেন। তাদের মতে বৃটিশ আমলে প্রদত্ব একটি কালো আইন এবং প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী মরহুম ছাইফুর রহমানের অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের কারনে বালাদেশের ৩২৭ টি পৌরসভার ৩২৫০০ কর্মকর্তা কর্মচারিরা আজ মানবেতর জীবন যাপন করছে।

কারন “পৌরসভার আয় থেকেই পৌর কর্মচারীদের বেতন ভাতা পরিশোধ করতে হবে” বৃটিশদের করা এই আইনটি ১৯৯৬ সালে তৎকালীন এলজিআরডি মন্ত্রী মরহুম জিল্লুর রহমান পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু কাজ চলাকালীন সরকার পরিবর্তন হলে নতুন অর্থমন্ত্রী ছাইফুর এসে বৃটিশ আইনটি বলবৎ রাখেন। এর ফলে বর্মান পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। যার ফলে দেশের পৌরবাসিরা পৌরকর দিয়েও পৌরসেবা থেকে বঞ্চিত।

SHARE