ভোলায় দুর্নীতিবাজ বড় ভাইয়ে পথে হাটলেন ছোট ভাই

অর্জুন দেঃ
ভোলায় দুর্নীতিবাজ বহিস্কৃত অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিনের দেখানো পথে হাটলেন তার আপন ছোট ভাই গিয়াস উদ্দিন। নিজাম উদ্দিন যেমন করে এমএ পাসের আগে অধ্যক্ষ পদ দখল করেছেন ঠিক তেমনি তার আপন ছোট ভাইকেউ বিএ পাসের ৪ বছর আগে নিয়োগ দেয়ায় তিনিও চাকুরি চুত্য হয়েছেন।

গত ১৭ জুলাই “ভোলায় চাকুরি পূর্নবহালের দাবীতে শিক্ষকের সংবাদ সম্মেলন” শিরনামে ভোলায় প্রকাশিত সংবাদে গিয়াস উদ্দিন ও নিজাম উদ্দিনের লোমহর্ষক সীমাহীন দুর্নীতির থলের বিড়াল বেরিয়ে আসে।

উক্ত সংবাদ সম্মেরনে সাংবাদিকদের ভুল বুঝিয়ে ও তাদের সাথে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতারনা করে নিজেকে দুধে দোয়া তুলশি পাতা দাবী বরলেও তার স্কুল পরিচালনা কমিটির দেয়া দালিলিক প্রমানাধিতে বড় ভাই বহিস্কৃত অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিনের মত ছোট ভাই গিয়াস উদ্দিনও ভোলার আরেক দুর্নীতিবাজে পরিনত হয়েছেন।
বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক ও আদালত সুত্রে জানাযায়,
মোঃ গিয়াস উদ্দিন ওবায়েদুল হক বাবুল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন ১২.০৭.১৯৯৮ সালে কিন্তু তিনি পাস করেন ২০০২ সালে। তার আপন বড় ভাই ইলিশা ইসলামিয়া মডেল কলেজ থেকে দুর্নীতির দায়ে বহিস্কৃত অধ্যক্ষ মোঃ নিজাম উদ্দিন ওবাইদুল হক বাবুল মাদ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন বিএ পাস করার ৪ বছর পূর্বেই মোঃ গিয়াস উদ্দিনকে অবৈধ ভাবে নিয়োগ প্রদান করেন। নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পর মোঃ গিয়াস উদ্দিনের জালজালিয়াতি ও সীমাহীন দুর্নীতি ধরা পরলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি তাকে সকল নিয়ম মেনে বহিস্কারের সুপারিশ করলে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের আপিল এ্যন্ড আরবিট্রেশন বোর্ড তাদের বহিস্কার আদেশ অনুমোদন করেন। মোঃ গিয়াস উদ্দিন আপিল এ্যন্ড আরবিট্রেশন বোর্ডের বিরুদ্ধ মহামন্য হাইকোর্ট ডিভিশনে আপিল করেন যার রীট পিটিশন নং- 8165/2007। হাইকোর্টের বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি সায়েদ মাহমুদ হোসাইনের যৌথ বেঞ্চ ০৫.০৮.২০০৮ এটি সম্পুর্ন ম্যানেজিং কমিটির বিবেচনার ব্যাপার বলে রুল ডিসমিস করে দেন। এর পর মোঃ গিয়াস উদ্দিন হাইকোর্টের ০৫.০৮.২০০৮ তারিখের আদেশ গোপন রেখে ভোলার সদর জজ আদালতে ফের মামলা দায়ের করেন যার দেওয়ানি মামলা নং-১৯০/০৮। ভোলা সদর কোর্ট গত ০৯.০৯.১৮ তারিখে মামলাটি খারিজ করে দেন। এই আদেশের আলোকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিজি) তাদের মানথলি পে ওয়ার্ডার অর্থাৎ এমপিও থেকে মোঃ গিয়াস উদ্দিনের নাম স্থায়ী ভাবে বাতিল করে দিয়ে তার পদটি শুন্য ঘোষনা করেন।
প্রধান শিক্ষক মোঃ সরওয়ার হোসেন ভোলা নিউজকে বলেন,
তার স্কুল থেকে জালজালিয়াতি ও দুর্নীতির জন্য বহিস্কৃত শিক্ষক মোঃ গিয়াস উদ্দিন প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে ভোলার সাংবাদিক ভাইদের ভুল বুঝিয়ে করা আসত্য নিউজে তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে মোঃ গিয়াস উদ্দিনের দ্বারা রাষ্ট্রের তসরুপ করা সকল টাকা ফেরত দানে সাংবাদিক ভাইদের দৃষ্টি কামনা করছি। আমরাও তার স্কুল থেকে অবৈধ ভাবে উত্তোলন করা সকল টাকা রাষ্ট্রিয় কোষাগারে ফেরৎ দেয়ার জন্য প্রশাসনের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ শুরু করেছি।

SHARE