ভোলার তজুমদ্দিনের লঞ্চ ঘাট এখন মরন ফাঁদ, দেখার কেউ নেই

মিলি সিকদারঃ-
তজুমদ্দিন হয়ে মনপুরার নৌপথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম সী-ট্রাক এবং তজুমদ্দিন থেকে ঢাকাও যোগাযোগের একমাএ মাধ্যাম হলো নৌ পথ ,তবে বতমানে তজুমদ্দিনের নৌ পথটি এখন মরন ফদে পরিনত হয়েছে। দীর্ঘদিন সী-ট্রাক ঘাট ও লঞ্চঘাটি দিয়ে চলাচল অতিযুকি পূন। যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তজুমদ্দিনের ঘাটটি পড়াপড় করতে হয়। অন্যদিকে কারনে অকারনে মনপুরা যাওয়া আসার জন্য সী- ট্রাকটি বন্ধ থাকার করনেও যাত্রীদের চরম দূর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে। মানুষ বাধ্য হয়ে ইঞ্জিন চালিত ছোট ট্রলারে করে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিচ্ছে। মানুষের নিত্যদিনের এহেন দূর্ভোগের চিত্র লাগবে প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন সাধারন মানুষ।

সূত্রে জানা যায়, জেলার সাথে মনপুরা উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যমই হচ্ছে নৌ পথ। এ রুটে বর্ষা মৌসুমে সি-ট্রাক ও শুষ্ক মৌসূমে লঞ্চ চলাচল হয়ে আসছিলো। গত ২৬ দিন ধরে যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে বন্ধ রয়েছে একমাত্র সি ট্রাক এস.টি শহীদ শেখ কামাল।

বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা যায়, মেঘনায় ১৫ মার্চ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঞ্জার জোন ঘোষণা করে সরকার। এই সময় মেঘনায় বেক্রসিং সনদধারী নৌযান ব্যতিত সকল প্রকার নৌযান চলাচলের নিষেধাজ্ঞা জারী রয়েছে। কিন্তু সরকারী বরাদ্দকৃত সি-ট্রাকটি কিছু সময় সচল থাকে, আবার কিছু সময় অকেজ হয়ে পড়ে থাকে। তাই বাধ্য হয়ে মনপুরা-টু-তজুমদ্দিন হয়ে যারা চলাচল করেন তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট ট্রলারে প্রয়োজনের তাগিদে যাতায়াত করছে। এতে একদিকে যেমন নৌ-দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে, অন্যদিকে অতিরিক্ত সময় ও অর্থ দুটোই ব্যায় হচ্ছে। যাত্রীরা জানান, জীবনের প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে তারা ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট ট্রলারে যাতায়াত করছে।

SHARE