ভোলার মনপুরা ও ঢালচর প্লাবিত

মনির আহাম্মেদঃ-
টানা বর্ষন ও সাগরে বাতাসের প্রভাবে সৃষ্ট অস্বাভাবিক জোয়ারে মনপুরা ও চরফ্যাসনে ঢালচর ইউনিয়নের ৯টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে রাস্থাঘাট, হাটবাজার, স্কুল, মসজিদ-মাদ্রাসা এবং বসতঘর। পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে দুই উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ।
গতকাল সকাল ১১ টার পর থেকে জোয়ারের পানি বাড়তে থাকে পূর্নিমার প্রভাবে এ জোয়ার আগামী কয়েকদিন বাড়তে পারে বলে ধারনা করছেন আবহাওয়া আফিস।

মনপুরা উপজেলায় অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ভাসছে প্রায় ৭ থেকে ৮টি গ্রাম। গত ২দিন যাবত জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেঘনার পানি বিপদসীমার উপরদিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাড়ি ঘর, রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা তলিয়ে গেছে।

জানাযায় মনপুরা উপজেলার মনপুরা ও হাজিহাট ইউনিয়নের কাউয়ারটেক, আন্দির পাড়, দাসেরহাট, নাইবেরহাট, সোনার চর, পূর্ব আন্দির পাড়,কলাতলীর চর,এমনকি লঞ্চঘাটটিও অতি জলাবদ্ধতার মধ্যে রয়েছে।
স্থানীয় ঢালচরের বাসিন্দা মনজু খন্দকার জানান, প্রতি বছর এই সময়ে জোয়ারের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী হয়ে থাকে। কিন্তু এবছর দক্ষিণ-পূর্ব কোণের বাতাসের দাপট থাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক উচ্চমাত্রার জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে সমগ্র ঢালচর। পানির তোরে গ্রামের কাঁচা রাস্তাগুলো ভেঙ্গে গেছে এবং ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। ডুবে গেছে ঘরভিটা, ফসলের ক্ষেত ও হাটবাজার । দক্ষিণ উপকূলের ঢালচরের বাগান থেকে শতাধিক মহিষ জোয়ারের টানে সাগরে ভেসে গেছে।

জোয়ারের পনিতে ঢালচরের কয়েকটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড তরফ থেকে জানানো হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুল সালাম হাওলাদার জানান, জোয়ারে প্লাবিত হওয়ায় স্কুলে ছাএ- ছাএীরা যেতে পারছেনা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রুহুল আমিন জানান, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকায় প্লাবিত এলাকার খোজ খবর নেয়া সম্ভব হচ্ছে না, তবে যোগাযোগের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডে (ডিভিশন-২) নির্বাহী প্রকৌশলী কাইসার আলম জানান, স্বাভাবিকের চেয়ে ৫-৬ ফুট উচ্চতার জোয়ারের ঢাল চরের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বেড়িবাধ না থাকার ফলে উপজেলার ঢালচরের মেঘনা পাড়ের মানুষ চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।।

SHARE