ভোলায় নির্বাচন ছাড়াই ২০ বছর ইউপি চেয়ারম্যান তিনি

মিলি শিকদার/ মাসুদ রানাঃ
নির্বাচন ছাড়াই দেড় যুগের বেশি সময় নির্বাচন না করিয়ে তিন একজন প্রভাবসালী ইউপি চেয়ারম্যান। ভোলার লালমোহন যেন এখন নিয়ম নীতীহীন একটি হরিলুটের রাজত্বে পরিনত হয়েছে।
ভোলার লালমোহন উপজেলা৫সর ৭নং পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়ন। ২০০৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সারা দেশের মতো এই ইউনিয়নটিতেও নির্বাচন হয়। তৎকালীন সময়ে নিজ দল ক্ষমতায় থাকার সুবাদে অধ্যক্ষ আবু ইউসুফ বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো নির্বাচন ছাড়াই দেড় যুগেরও অধিক সময় ধরে চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন তিনি।

সরেজমিন জানায়, ২০১১ সালে ইউনিয়নটির একটি ভোট কেন্দ্র বিচ্ছিন্ন চরকঁচুয়াখালীতে স্থানান্তরের দাবি জানিয়ে জৈনিক সিরাজুল হক নামে এক ব্যক্তি উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করেন। দায়িত্ব ভোগের জন্য এই মামলাটিও ওই ব্যক্তিকে দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানই করান বলে জানা যায়। যার কারণে ১৯ বছর যাবৎ ইউনিয়নটিতে বন্ধ রয়েছে নির্বাচন। এ কারণে নিজের মন মতো চলছে ইউনিয়ন পরিষদের সকল কার্যক্রম।
সাবেক চেয়ারম্যান হাজী আবু তাইয়েব বলেন, ‘ব্যক্তি স্বার্থের চেয়েও জনগণের মৌলিক চাহিদা আমাদের আগে দেখতে হবে। কারণ জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য তারা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করেন। তাই জনগণের মৌলিক চাহিদা আদায়ের জন্য অতি শিগগিরই এ ইউনিয়নে নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’

স্থানীয়রাও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একই ব্যক্তি বারবার ক্ষমতার চেয়ারে থাকায় জনগণ তাদের সঠিক সেবা পাচ্ছে না। ক্ষমতার পরিবর্তন না হলে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটে না। এর ফলে জনগণও সুফল পায় না। এ অবস্থায় দ্রুত ওই ইউনিয়নে নির্বাচনের জোর দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবু ইউসুফ বলেন, ‘ইউনিয়নটিকে দুই ভাগে ভাগ করা হবে। যার কারণে নির্বাচন বন্ধ রয়েছে।’ এ সময় মামলার কথা অস্বীকার করেন তিনি।

এ নিয়ে লালমোহন উপজেলা নির্বাচন অফিসার আমির খসরু গাজী ভোলা নিউজকে বলেন, এই ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে কয়েক দফা আদেশ দিলেও একটি মামলা থাকার কারণে আমরা নিবার্চন করতে পারছিনা। এই একটি মাত্র মামলা নিষ্পত্তি হলেই দ্রুত নির্বাচন করাতে পারতাম আমরা।

SHARE