ভোলায় পরিসংখ্যান অফিসারের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ

লালমোহন প্রতিনিধি:
ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার পরিসংখ্যান অফিসের কর্তাকতদের দুর্নীতি ও জাল স্বাক্ষরে কৃষি শুমারি সুপারভাইজার ও গণনাকারীদের টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অত্র উপজেলায় কৃষি শুমারির খানা গণনার জন্য ৪০ জন সুপারভাইজার ও ২৬৭ জন গণনাকারীকে গত ২৭ মে থেকে তিনদিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রশিক্ষণার্থী বলেন, প্রশিক্ষণকালীন প্রত্যেককে তিনদিনে আপ্যায়ন খরচ বাবদ ৩১১ টাকা করে দেওয়ার কথা উল্লেখ থাকলেও এসকল কর্মীদেরকে দেয়া হয়েছে ৩০০ টাকা করে। এবং এদের মধ্যে অধিকাংশ কর্মীদের কাছ থেকে ১০ টাকা মূল্যের রেভিনিউ স্টাম্পের জন্য ৫০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।

উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ধলীগৌরনগনর ও লালমোহন ইউনিয়নের কৃষি শুমারির দায়িত্বে থাকা জেএসএ আরিফুর রহমান খন্দকার ওই এলাকার সুপারভাইজার ও গণনাকারীদেরকে আপ্যায়ন খরচ বাবদ ৩০০ টাকা তুলে দিচ্ছেন সুপারভাইজারদের হাতে। প্রত্যেক কর্মীর কার্ড দেখে তাদের স্বাক্ষর রেখে টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও গণনাকারীদের বদলে তাদের স্বাক্ষর জাল করে সুপারভাইজারদেরকে দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে রাখছেন এ কর্মকর্তা।

অপরদিকে লর্ডহার্ডিঞ্জ ও রমাগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষি শুমারির দায়িত্বে থাকা উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিত্য কৃষ্ণ ও একই পথে হাঁটছেন।

স্বাক্ষর জাল, রেভিনিউ স্টাম্পের জন্য ৫০ টাকা ও আপ্যায়ন খরচ বাবদ ৩১১ টাকার পরিবর্তে ৩০০ টাকা করে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পরিসংখ্যান অফিসে দায়িত্বে থাকা জেএসএ আরিফুর রহমান খন্দকার ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিত্য কৃষ্ণ কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

উল্লেখ্য, গত ৯ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত উপজেলাব্যাপী কৃষি শুমারির খানা গণণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

এব্যাপারে ইউসিসি মহিউদ্দিন বলেন, কৃষি শুমারি চলাকালীন পর্যন্ত আমি দায়িত্বে ছিলাম। তবে আমার জানা মতে এধরনের কোন অভিযোগ নেই।

SHARE