সাংবাদিক লঞ্চিত করায় পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

বিশেষ প্রতিনিধিঃ-
রংপুর জেলা সদরে একাত্তর টেলিভিশনের রিপোর্টার ও ক্যামেরা পারসনকে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে গঙ্গাচড়া মডেল থানার এক এসআইসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের চারজনকে গঙ্গাচড়া থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (২৪ জুন) বিকেলে শাস্তিমূলক এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গঙ্গাচড়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান।

তিনি বার্তা২৪.কম-কে জানান, ‘সাংবাদিক শাহ্ বায়েজীদ আহম্মেদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসআই আব্দুল করিমসহ তিন কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত (ক্লোজড) করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত করে দোষী সাব্যস্ত হলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জানা গেছে, আজ বিকেলে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার আঞ্চলিক সড়কে গাড়ি চালকের কাছ থেকে পুলিশের চাঁদা নেয়ার ছবি ধারণের সময় একাত্তর টিভির ক্যামেরাপারসন ও রিপোর্টারকে লাঞ্ছিত ও মারধর করেন এসআই আব্দুল করিমসহ তার সঙ্গে থাকা অন্য পুলিশ সদস্যরা। এ সময় ক্যামেরা পারসন শাহীন আলম ও নবী রাফিকে ধারণ করা ভিডিও মুছে ফেলার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়। এ ঘটনায় গঙ্গাচড়া মডেল থানায় অভিযোগ দেয়া হয়।

এ ঘটনায় লাঞ্ছিত একাত্তর টিভির রংপুর ব্যুরো প্রধান শাহ বায়েজীদ আহম্মেদ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘সোমবার বিকেলে গঙ্গাচড়া উপজেলার গঙ্গাচড়া ডিগ্রি কলেজ মোড়ে গাড়ি আটক করে চালকদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছিলেন গঙ্গাচড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিমসহ আরও তিন পুলিশ কনস্টেবল। এ ঘটনার ভিডিও করতে গেলে ওই পুলিশ সদস্যরা একাত্তর টিভির ক্যামেরাম্যান শাহিন আলম ও রাফির উপর হামলা চালিয়ে মারধর করে। রিপোর্টার বাধা দিলে তাকেও লাঞ্চিত করা হয় এবং ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ারও চেষ্টাও করা হয়।’

এ ঘটনায় থানায় মৌখিক অভিযোগ দিলে ওই এসআইসহ আরও তিন কনস্টেবলকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।

এদিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকের ওপর পুলিশ সদস্যদের এমন হামলা ও লাঞ্চনার ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে রংপুরের সাংবাদিক সমাজ।

SHARE