ভোলাগামী তাসরিফ-৪ লঞ্চে মা বলছে ধর্ষণ, মালিক পক্ষের দাবী চুমা

জামিল হোসেনঃ
ভোলাগামী ঢাকার লঞ্চে ফের ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। ভিকটিমের মা বলছে ধর্ষণ মেয়েটি কেবিন বয়ের রুম থেকে কাঁদতে কাঁদতে বের হয়েছে। লঞ্চ মালিক বলছে বেবিন বয় মেয়েটিকে চুমু দিয়েছে। পুলিশ বলছে যে কোন ঘটনাই হতে পারে। যাত্রীরা বলছে ভোলার লঞ্চ গুলোতে হরহামেসাই ধর্ষনের ঘটনা ঘটলেও ইজ্জতের ভয়ে মুখ খোলেননা ভুক্তভুগিরা।
এবার ঢাকা থেকে চরফ্যাসনগামী তাসরিফ-৪ লঞ্চে ৬বছরের শিশুকে ধর্ষণ করেছে কেবিন বয় এমনটাই দাবী করেছেন ধর্ষিতার মা। শনিবার রাতে ঢাকা থেকে চরফ্যাসনে আসা তাসরিফ-৪ লঞ্চে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় চরফ্যাশন থানায় মামলা করেছে ভিকটিমের পরিবার। শিশুটির মা বাদী হয়ে ২৬ শে মে রোববার বিকেলে কেবিন বয় ইমাম হোসেন রানাকে আসামি করে চরফ্যাসন থানায় মামলাটি করেন।

ভিকটিমের মা জানান, তার স্বামী ঢাকায় বেসরকারি চাকরি করেন। সে সুবাদে ছয় বছরের শিশু কন্যাকে নিয়ে কয়েকদিন আগে ঢাকায় স্বামীর কাছে বেড়াতে যান। শনিবার সন্ধ্যায় চরফ্যাসনের নিজ বাড়িতে ফেরার জন্য শিশু কন্যাকে নিয়ে সদরঘাট থেকে তাসরিফ-৪ লঞ্চে ওঠেন। রাতে তিনি কেবিনের ভেতরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই সময় তার মেয়ে কেবিনের বাইরে বসে ছিল। দীর্ঘক্ষণ মেয়েকে না দেখতে পেয়ে খোজাখুঁজি শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর কেবিনবয় রানার স্টাফ কেবিন থেকে মেয়েকে কান্নারত অবস্থায় বের হতে দেখেন। তখন তার মেয়ে ঘটনাটি জানায়। সকালে চরফ্যাসন থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

চরফ্যাসন থানার ওসি সামসুল আরিফিন তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত লঞ্চের কেবিন বয় ইমাম হোসেন রানাকে গ্রেফতার করেছেন। গ্রেফতারকৃত ইমাম হোসেন রানা মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের দুড়িরচর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে বলেও ভোলা নিউজকে জানান ওসি আরিফিন। ওসি আরো বলেন, মেয়েটি ওই কালপিটের রুম থেকে কান্নারত অবস্থায় বের হয়েছে এটি আমরা নিশ্চিত এখন খতিয়ে তদন্ত করে দেখছি আসলে শিশুটি ধর্ষিত হয়েছে না ধর্ষনের চেষ্টা হয়েছে।
তবে ভোলার যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, ভোলার লঞ্চে গুলোতে এমন ঘটনা হরহামেসাই ঘটে থাকে কিন্তু ইজ্জত সম্মানের ভয়ে অনেকে তা প্রকাশ করেননা। এর আগেও এমভি টিপু লঞ্চের কেবিন বয়রা এক যাত্রীকে গন ধর্ষন করেছে সেই ঘটনায় মামলা হলেও কোন প্রকার বিচার দেখেননি ভোলার জনগন। ভোলার লঞ্চের প্রশাসনের এ ব্যাপারটি খতিয়ে দেখা উচিত।
লঞ্চের কর্তি পক্ষের কাছে সংবাদ কর্মীরা ফোন করলে তারা জানান, ঐ মেয়েটি ছোট্ট একটি ৩ বছরের বাচ্চা, বাচ্চাটির সাথে আমাদের কেবিন বয় দুস্টামি করে চুমু দিয়েছে তাতে মেয়েটির মা এর মাইন্ডে লেগেছে, তাই মেয়েটির মা বাদি হয়ে চরফ্যাশন থানায় মামলা করেছে।

SHARE