এইচএসসি পরীক্ষা প্রশ্নফাঁসে শিক্ষক-কর্মচারী জড়িত থাকলে চাকরি থাকবে না।

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা উপলক্ষে আগামী ১ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। প্রশ্ন ফাঁস বা এ ধরনের চেষ্টায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর শিক্ষকরা এ ধরনের কাজে জড়িত হলে বরখাস্তসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ সোমবার সচিবালয়ে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। আগামী পহেলা এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। সারাদেশের প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নেবে। লিখিত পরীক্ষা চলবে ১১ মে পর্যন্ত। প্রশ্নফাঁস বন্ধে এবারও এক মাসের বেশি সময় দেশের সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন,‘কোনো প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠানপ্রধান বা শিক্ষক কোনোভাবে পাবলিক পরীক্ষায় বেআইনি কোনো কাজ করলে সে প্রতিষ্ঠান,প্রতিষ্ঠান প্রধান বা শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে পরীক্ষা কেন্দ্র বাতিল করা হবে। দোষী শিক্ষক, কর্মচারী সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হলে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হলে তাঁর এমপিও স্থগিত তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার জন্য গভর্নিং বডিকে বলতে হবে। গর্ভনিং বডি দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে প্রয়োজনে কমিটি বাতিল করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে।’

কোচিং সেন্টার প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আইডিয়ালি কী হওয়ার কথা শুধু যে পরীক্ষা হচ্ছে, সে পরীক্ষার কোচিং বন্ধ রাখলেই চলত। যেহেতু আমাদের এখানে একই জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন কোচিং হয়, এটি যেমন আছে তার পরও দেখেছি যখন নিষেধ করা হয় কিছু অসাধু ব্যক্তি আছে তারা নানা ভাবে অসাধু উপায় অবলম্বন করে এবং কোচিং সেন্টার খোলা রাখার বিভিন্ন চেষ্টা চালিয়ে যান। সে কারণে আমরা বাধ্য হয়ে ১ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত।

শুধু তাই নয়, প্রশ্নফাঁসের গুজব ছাড়ানো বন্ধে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কঠোর নজরদারি করবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে আসতে হবে। এরপর প্রশ্ন বিতরণের জন্য সেট কোড ঘোষণা হবে। প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন,গত এসএসসি পরীক্ষায় নিয়মিত ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের মাঝে প্রশ্ন বিতরণে যে ভুল হয়েছিল তা এড়াতে এবার দুই ধরনের পরীক্ষার্থীদের রোল নম্বর, প্রশ্নের সেট এবং পরীক্ষার কক্ষ আলাদা করা হয়েছে।

SHARE