সংলাপে না, শুভেচ্ছা জানাতে যাবো : এরশাদ

ডেস্ক: ভোলানিউজ.কম,

আগামী ৫ নভেম্বর সরকারের সাথে জাতীয় পার্টি সংলাপে নয়, শুভেচ্ছা জানাতে গণভবনে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন দলের চেয়াম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। বলেন, ‘তারা আমাকে চিঠি দিয়েছে, আমি যাব তবে সংলাপ এখন হবে না। সংলাপের চাপ এখনো হয়নি। আমরা কোন দাবি নিয়ে নয়, শুভেচ্ছা জানাতে সেখানে যাব।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর পর্যটন মোটেলে সাংবাদিকদের সাথে আলাপক কালে এসব কথা বলেন সংসদে প্রধান বিরোধী দলটির নেতা।
এরশাদের আজকের বক্তব্য তার আগের দিনের কর্মকা-ের বিবেচনায় স্ববিরোধী। বুধবার তিনি সংলাপে বসার ইচ্ছার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দেন। সে চিঠি গ্রহণ করে ৫ নভেম্বর জাতীয় পার্টির নেতাদের গণভবনে আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী।

সন্ধ্যায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে এই সংলাপ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আগামীকাল বিকল্পধারার চেয়ারম্যান একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সঙ্গে বসবেন তিনি।

ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংলাপ সফল হবে না বলেও মনে করেন এরশাদ।  বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্ট যে দাবি দিয়েছে শেখ হাসিনা তা মানবেন না। সংবিধান মতে, দাবিগুলো মানা সম্ভব নয়।’

‘ঐক্যফ্রন্ট হাসিনার পদত্যাগ চায়, অনেক কিছু চেয়েছে তারা। সেগুলো মানা সরকারের পক্ষে সম্ভব না। সরকার বলছে সংবিধান মোতাবেক আমাদের নির্বাচন হবে। সংবিধানে বাহিরে সব চেঞ্জ করতে বলে ঐক্যফ্রন্ট। আমার মনে হয়ে এটার ফলপ্রসু হবে না।’

বিএনপির নেতৃত্ব কে দেবে- এমন প্রশ্ন তুলে জাতীয় পার্টির নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়া তো কারাগারে, তারেক তো বাহিরে। এখন তো দেখি ফখরুল কামাল হোসেন সাথে ঐক্যজোটে গেছে। আমার সন্দেহ আছে তাহলে বিএনপি কী করবে? নেত্রী তো নাই।’

তবে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন চান বলেও জানিয়েছেন এরশাদ। জানান, ভোট নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি তিনি।
জাতীয় পার্টির নেতা আবার বলেন, রংপুরে ছয়টি আসনের চারটি নিয়েছে আওয়ামী লীগ। ওই আসনগুলো এবার ফেরত চাইবেন তিনি।
‘আমরা যদি আলোচনায় বসি তাহলে আমাদের প্রথম দাবি হবে যেখানে লাঙ্গল থাকবে সেখানে নৌকা দিতে পারবে না। না হলে আমরা জিততে পারব না, জিততে দেওয়া হবে না। যেখানে লাঙ্গল থাকবে নৌকা জিততে পারবে না।’

বিএনপির মতোই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম নিয়ে আপত্তি আছে এরশাদের। বলেন, ‘ইভিএম পরীক্ষিত নয়। এটি আমরা সংশয়ের চোখে দেখি আমি। এই ইভিএমে কারচুপির রাস্তা খোলা থাকবে। আমরা এর পক্ষে নই।

(আল-আমিন এম তাওহীদ, ১নভেম্ববর-২০১৮ইং)

SHARE