সকল দলের সঙ্গে সংলাপে আগ্রহী প্রধানমন্ত্রী: কাদের

ডেস্ক: অনলাইন,

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব দলের সঙ্গে সংলাপ করতে চান বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সংলাপের বিষয়ে আন্তরিক। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও যুক্তফ্রন্ট ছাড়াও অন্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান তিনি। যেসব দল প্রস্তাব দেবেন প্রধানমন্ত্রী তাদের সঙ্গেই সংলাপে বসতে আগ্রহী।

বুধবার মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি এ্যানিক বর্ডিন এবং জার্মানির রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোতি এর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে চিঠি দেন ঐক্যফ্রন্টের ড. কামাল হোসেন। পরদিন ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, তারা সংলাপে বসতে রাজি।

মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর চিঠি যায় কামাল হোসেনের কাছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদেরকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানান সরকারপ্রধান। এরপর মঙ্গলবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সংলাপে যোগ দেয়ার দাবি জানিয়ে চিঠি দেয় বিকল্পধারার সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। আর রাতেই প্রধানমন্ত্রী পাল্টা চিঠিতে বি. চৌধুরীকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানান।

বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সংলাপ হবে কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে সংলাপটাতো জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপেই কাভার হয়ে যাবে। তাছাড়া সময়ও নেই। আগামী ৪, ৫ কিংবা ৬ তারিখ যদি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়ে যায় তাহলে তো বেশি সময় পাওয়া যাবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আগামীকালের সংলাপে আগামীর অরেক রাজনীতি সম্পর্কে জানা যাবে। ঐক্যফ্রন্ট যুক্তফ্রন্টের বাইরেও আলোচনা হতে পারে। আগামী মাসের ৪/৫ তারিখে শিডিউল ঘোষণা হতে পারে। তাই সময় কম।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, বিএনপিকে খালেদা জিয়ার মামলা আইনগতভাবে মোকাবেলা করতে হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুটি মামলার রায় ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে সংলাপে এই ব্যাপারে আলোচনা কী হতে পারে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিষয়টি আদালতের। এটির সঙ্গে সংলাপকে সম্পৃক্ত করা বোধ হয় ঠিক হবে না। তবে আলোচনার সুযোগ আছে।’

সংবিধান সংশোধন নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট আলোচনা করলে তারও জবাব দেয়া হবে বলেও জানান সেতুমন্ত্রী।

নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকার আছে থাকবে। তবে সরকারের কাজ সংকুচিত হয়ে যাবে। ইলেকশন কমিশনের আচরণবিধি আমরা সবাই মেনে নেবো।’

এ সময় ফ্রান্স-জার্মানির রাষ্ট্রদূত সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বলে জানান কাদের।

(আল-আমিন এম তাওহীদ, ৩১অক্টোবর-২০১৮ইং)

SHARE