বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের প্রস্তাব জাফরুল্লাহর

অনলাইন ডেস্ক:

নবগঠিত ঐক্যফ্রন্টকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের প্রস্তাব দিয়েছেন জোটে যোগ দেয়া জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

গত ১৩ অক্টোবর জোট গঠনের ১১ দিনের মাথায় বুধবার সিলেটের জনসভায় এই প্রস্তাব রাখেন সাবেক চীনপন্থী বাম নেতা।

জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমরা চার নভেম্বর জাতীয় চার নেতার মাজার জিয়ারত করব। এরপর জিয়াউর রহমানের সমাধিতে যাব। এরপরে ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবকে শ্রদ্ধা জানাব, এটা আমার প্রস্তাব।’

জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমরা শান্তির বাংলাদেশ চাই। আমরা ৭৫ এর মতো ২১ আগস্টের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না।’

গত ১৩ অক্টোবর গঠন করা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে কামাল হোসেনের জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া, বিএনপি, জেএসডি, নাগরিক ঐক্যের পাশাপাশ ব্যক্তি হিসেবে যোগ দিয়েছেন জাফরুল্লাহ এবং সাবেক সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মইনুল হোসেনও।

এই দলগুলোর মধ্যে বিএনপি প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার থেকে রেহাই দিতে জারি করা হয় ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ। আর বঙ্গবন্ধুর খুনি আজিজ পাশা, বজলুল হুদা আর সুলতান শাহরিয়ারকে নিয়ে দল গঠন করেন মইনুল হোসেন।

বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জাফরুল্লাহর পরে বক্তব্য রাখা ঐক্যফ্রন্ট নেতা সুলতান মো. মনসুর আহমেদ, মাহমুদুর রহমান মান্না, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বা ড. কামাল হোসেনের কেউ বিষয়টি নিয়ে কথা বলেননি। ফলে তারা এই প্রস্তাব মেনে নিয়েছেন কি না, তা জানা যায়নি।

ঐক্যফ্রন্ট কেন জরুরি ছিল, তারা কী করবেন, সে বিষয়েও বক্তব্য রাখেন জাফরুল্লাহ। বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ আর ড. কামাল হোসেনের বাংলাদেশের তফাৎ কোথায়? প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ হচ্ছে ঢাকাকেন্দ্রীক, আর ড. কামাল হোসেনের কথা বাংলাদেশ ঢাকাকেন্দ্রীক হবে না,  সারাদেশকে কেন্দ্রীকতা থেকে বের হতে হবে।’

‘এই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে তিন মাসের মধ্যে ওষুধের মূল্য অর্ধেক হবে। মানুষ সুলভ মূল্যে চিকিৎসা সেবা পাবে। শ্রমিক চিকিৎসা সেবা পাবে, কৃষক চিকিৎসা সেবা পাবে, ‍কৃষক পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাবে।’

বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে ঐক্যফ্রন্ট নেতা বলেন, ‘দেশ যখন উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে, তখন উন্নয়নের নৌকা ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। উন্নয়নের দুর্নীতিতে তাদের চোখে ছানি পড়েছে। এই ছানি কেটে কীভাবে দেশ এগিয়ে নেবে, এ জন্য এই বয়সে ড. কামাল হোসেন দাঁড়িয়েছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম দাঁড়িয়েছেন, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন দাঁড়িয়েছেন, রব দাঁড়িয়েছেন, আরও অনেকে দাঁড়িয়েছেন।’

‘রাষ্ট্রেও এখন অনাচার চলছে। এই হয়রানি থেকে মুক্তির পথ কী। মুক্তির জন্যই দরকার জাতীয় ঐক্য।…খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে আইনের যে অবস্থা, সেই আইন সংস্কারের জন্য কামাল হোসেনকে দরকার, মঈনুল হোসেনকে দরকার। তারাই আইনের সংস্কার করতে পারবে।

(আলআলআমিন এম তাওহিদ/২৪অক্টোবর-২০১৮ইং)

SHARE