আল-আমিন এম তাওহীদ,ভোলানিউজ.কম,
ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের চরপোটকা ৩৭নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিতে সাবেক প্রধান শিক্ষককের অবৈধ নির্মান করা ঘর ভেঙ্গে দেয়ায় বর্তমান প্রধান শিক্ষক জেলহাজতের ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়সূত্রে জানাযায়, বিদ্যালয়ের জমিতে সাবেক প্রধান শিক্ষক রফিউদ্দিন একটি দোকান ঘর নির্মান করেন। ওই দোকান ঘরটি বর্তমান প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দিন আহমেদ প্রশাসনের সহযোগিতায় ভেঙ্গে দেয়। ঘরটি প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দিন বার বার সরিয়ে নিতে বললে, কিন্তু দোকানঘরটি সরিয়ে নেয়নি সাবেক প্রধান শিক্ষক রফিউদ্দিন। এরই জেরধরে সাবেক প্রধান শিক্ষক পুর্বে পরিকল্পিতভাবে ক্যাডার বাহিনী দিযে এবং এলাকার মানুষের কাছে মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে বর্তমান প্রধান শিক্ষককে মারধর করে স্কুলের একটি কক্ষে নিয়ে আটক করে রাখে সাবেক প্রধান শিক্ষক রফিউদ্দিনসহ তার লোকজন। পরে থানার পুলিশ এসে প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দিনকে নিয়ে যায়। প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দিন অত্যান্ত একজন ভাল মানুষ, তাকে স্কুল থেকে সরিয়ে সরকারি জমিতে অবৈধভাবে দখল করে পুনরায় দোকান ঘর নির্মান করতে চায় সাবেক প্রধান শিক্ষক রফিউদ্দিন। স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী কেয়া (৭) এই শিশুকে নিয়ে যৌন নিপীড়ন কথাটি মিথ্যা বানোয়াট। সাবেক প্রধান শিক্ষক রফিউদ্দিন মোটা অংকের বিনিময় ভাড়াটিয়া বাহিনী এবং শিশু কেয়া তার মা তাছলিমাকে দিয়ে মামলা করেছে। দোকান ঘর সরানোকে কেন্দ্র করে সাবেক প্রধান শিক্ষক পূর্বে থেকেই নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে। বিভিন্ন সময়ে স্কুলের টাকাও আত্মসাৎ করেছে সাবেক এ প্রধান শিক্ষক। তার ক্ষমতা ও লোকজন বেশি থাকায় আমরা প্রতিবাদ করতে পারিনা।
এদিকে, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট। স্কুলের জমিতে সাবেক প্রধান শিক্ষক রফিউদ্দিনের অবৈধ ঘর নির্মাণ করা ছিল ওই ঘর ভেঙ্গে দেয়ার কারনে প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে।
মামলার বাদী শিশু কেয়া’র মা তাছলিমা বেগম জানান, সাবেক প্রধান শিক্ষক রফিউদ্দিন স্যারে হুমকি-দামকি দিয়েছে। বলছে তোমার মেয়েকে অনেক বড় স্কুলে পড়া শুনা করাবো এ ছোট খাটো স্কুলে না পড়লে কোন সমস্যা নেই। কেয়া’র সম্পূর্ণ পড়া-শুনার খরচ আমি দিবো। আমি বিষয়টি আগে বুজিনি যে রফিউদ্দিন স্যারের দোকান নির্মাণ করা বিষয় নিয়ে মহিউদ্দিন স্যারের সাথে সমস্যা রয়েছে।
এবিষয়ে সাবেক প্রধান শিক্ষক রফিউদ্দিনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর দুপুর ২টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের চরপোটকা ৩৭নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দিনকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগের ভিত্তিতে থানা পুলিশ তাকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেয়। ওই স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী কেয়া (৭) তার মা বাদী হয়ে ভোলা সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলা দায়ের করেন, যাহার মামলা নম্বর- ২৪/৬৮৪/ ২০১৮ইং। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে কেয়া কে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাত পাখা দিয়ে বাতাস করিয়ে কোলের উপর বসিয়ে তার গোপনাঙ্গে হাত দিয়ে যৌন-পীড়ন করে। এমন ঘটনার সততা যাচাই-বাচাই না করিয়ে গুজবে কান দিয়ে উত্তেজিত হয় এলাকাবাসি। পরে বেড়িয়ে আসে চাঞ্চল্যকর কাহিনী। ঘটনা দোকান ঘর নিয়ে, আর তৈরি হলো যৌন-নিপীড়ন মামলা, নিজেকে নির্দোষ প্রমানিত করার সুযোগ দেয়া হয়নি প্রধান শিক্ষক।
(আল-আমিন এম তাওহীদ, ১৪অক্টোবর-২০১৮ইং)