এসকে সিনহার বিরুদ্ধে নামজুল হুদার ‘দুর্নীতির মামলা’

অনলাইন ডেস্ক: ভোলানিউজ.কম,

পদত্যাগী প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে মামলা করেছেন সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হুদা।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর শাহবাগ থানায় গিয়ে মামলাটি করেন তৃণমূল বিএনপি নামে একটি দলের সভাপতি। তবে এটি প্রকাশ পেয়েছে আজ সোমবার।

থানার উপপরিদর্শক জহিরুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে মামলায় কী অভিযোগ করা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানাতে রাজি হননি তিনি।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসান কেবল জানান, মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে দুর্নীতির। তবে বিস্তারিত কিছু জানাতে রাজি হননি তিনিও। বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত ও আইনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হওয়ায় মামলাটি দুদকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপ কমিশনার মারুফ হোসেন সরদারও বিস্তারিত না জানিয়ে বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি।’

নাজমুল হুদা রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে বিএনপির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে আওয়ামী লীগের গত আমলে তিনি বিএনপি থেকে বের হয়ে আলাদা দল গঠন করেন। পরে নিজের দল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে গঠন করেন তৃণমূল বিএনপি। আর আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

সুরেন্দ্র কুমার সিনহা যখন প্রধান বিচারপতি তখন সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা হয়। আর এই মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ে আইন, শাসন ব্যবস্থা, সংসদ নিয়ে নানা বিরূপ মন্তব্য করেন তিনি। আর এ নিয়ে বিতর্কের মধ্যে গত ১৩ অক্টোবর এক মাসের ছুটি নিয়ে বিদেশে যান সিনহা। ১০ নভেম্বর তার দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু আগের দিন তিনি সিঙ্গাপুর দূতাবাস থেকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন।

সম্প্রতি সিনহা আত্মজীবনীমূলক বই প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে, যেখানে তিনি দাবি করেন, তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে ভয় দেখিয়ে।

সিনহা বিদেশ যাওয়ার পরদিনই সুপ্রিমকোর্ট থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বিদেশে অর্থপাচার, নৈতিক স্খলনসহ ১১টি ‘গুরুতর অনিয়মের’ অভিযোগ আনা হয়। আপিল বিভাগের পাঁচ জন বিচারপতি সিনহাকে এসব অভিযোগ নিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন এবং তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে ওই বিচারকরা তার সঙ্গে এজলাসে বসতে রাজি হননি।
সিনহা অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আর এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন ব্যবস্থা নেবে বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানালেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। যদিও তাকে চার কোটি টাকা দেয়ার বিষয়ে দুইজন ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।

(আল-আমিন এম তাওহীদ, ১অক্টোবর-২০১৮ইং)

SHARE