নির্যাতিত রোকসানাকে বাঁচাতে পাশে দাড়িয়েছে বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ,

অনলাইন ডেস্ক: ভোলানিউজ.কম,

ছবিতে কঙ্কালসার ১০ বছরের একটি শিশুকে দেখা যাচ্ছে নাম তার রোকসানা, নড়াইলের লোহাগড়া থানার দরিদ্র বাবা মায়ের সন্তান রোকসানাকে দিয়ে বাসার টুকিটাকি কাজ করিয়ে ভালো খাওয়া পরা থাকা আর ভবিষ্যতে বিয়ে দেয়ার খরচ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফুঁসলিয়ে গত আট মাস আগে ঢাকায় নিজের বাসায় নিয়ে আসে আসাদুল্লাহ ওরফে ইলিয়াস হোসেন পলাশ এবং সোনিয়া দম্পতী। তাদের বাসা সেলিম টাওয়ার, A/P – B-3,৪৫ লালচাঁদ মোকিম লেন,টিপু সুলতান রোড,ওয়ারী। স্থায়ী ঠিকানা,গ্রাম – খলাপাড়া,লৌহজং,মুন্সীগঞ্জ।

এ সোনিয়ার ভাই ইব্রাহীম মোল্লা এই তিনজন মিলে বিভিন্ন সময় এই ছোট বাচ্চা রোকসনার উপর অমানিবক হিংস্র অত্যাচার করতো।বাচ্চাটাকে যখন মারতো তখন বাচ্চাটা চিৎকার করতো আর আশা করতো এই চিৎকার তার মা বাবা শুনবে এবং তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাবে নরক থেকে।কিন্তু টানা আট মাসে কেউ শোনেনি তার চিৎকার আর আর্তনাদ! শরীরের প্রতিটি জায়গায় পোড়া ক্ষত,না খাইয়ে তাকে দুর্ভিক্ষে ভোগা কঙ্কালসার বানিয়েছে।

তার শরীরে যৌনতার কামড়ের দাগ,তাকে ধর্ষণ করা হতো!এমন কোন বর্বরতা নেই যা তার সাথে করা হয়নি।শেষমেশ শিশুটির ব্রেইন হ্যামারেজ হয়ে নিস্তেজ হয়ে পড়লে এই বর্বররা কলাবাগানের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করে বাচ্চাটির বাবা মার কাছে ফোন করে পালিয়ে যায়! এই আট মাসে তার বাবা মা ফোন দিলে এক মিনিটের বেশী কথা বলতে দেয়নি,ভয় দিয়ে অত্যাচারের কথা চাপিয়ে রেখেছে!
এভাবে অত্যাচার করার পরে বর্বর পাষন্ড অমানুষটি গিয়েছেন হজ্জ্ব পালনে এবং স্ত্রী ধরেছে বোরকা লেবাস!
কিছুদিন আগে সোনিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এবং বর্বর আছাদুল্লাহ এখন হজ্জ্ব পালন শেষে দেশে ফেরেনি।

আপনাদের সবার কাছে অনুরোধ করছি আপনারা যে যার জায়গা থেকে এমন ভয়ংকর বর্বরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হবেন,দেশে একটি শিশুও যেন নির্যাতিনের শিকার না হয় সেজন্যই রোকসানার উপর নির্যাতনকারী এই তিন বর্বরের কঠিন বিচারের মাধ্যমে উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে।

নড়াইলের যে সকল আইনজীবী রোকসানার বিরুদ্ধে গিয়ে এইসকল বর্বরদের পক্ষ নিয়ে আইনি লড়াই করছে,তাদের জন্য নড়াইলের সর্বস্তরের মানুষের,গোটা দেশ এবং গোটা মানবজাতির আজন্ম ঘৃণা বরাদ্দ থাকলো।এই বর্বরদের পক্ষ নেয়ার ফলে খুব স্বাভাবিক ক্ষোভ প্রকাশের প্রতিক্রিয়াটা নিজেদের ভেতর মিমাংসা না করে মানবতার পক্ষে থাকা তিনজনকে জেলে প্রেরণ করে এই ঘৃণাটা স্থায়ী করা হলো,এর ফল ভালো হবে না,পরিষ্কার করা হলো,এর ফল ভালো হবে না।
ওই সকল বর্বর এবং টাকার লোভে ওই বর্বরদের পক্ষ নেয়া অন্য বর্বরদের ফল ভোগ করতে হবেই।

প্রশাসনে এবং মিডিয়াতে থাকা ভাই বন্ধু বিজ্ঞজনদের নিজ নিজ স্থান থেকে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখার অনুরোধ করছি,আটককৃত বর্বর সোনিয়াকে যেন মিডিয়ার সামনে আনা হয় এবং তদন্ত রিপোর্ট যেন কোন শক্তির কাছে বিকৃত না হয়ে যায় সেই ব্যবস্থা নিন। আওয়ামী নেতা এবং সরকারে থাকা গুরুত্বপূর্ণ পদধারী সম্মানিতজনদের অনুরোধ করছি বর্বর নির্যাতনের শিকার দরিদ্র পরিবারের মেয়েটিকে সরকারি খরচে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিন- শেখ শরিফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি।

(আল-আমিন এম তাওহীদ, ২১সেপ্টেম্ববর-২০১৮ইং)

SHARE