মান-অভিমান ভাঙাতে চাই না: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক:

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘রাজনৈতিক মান-অভিমান’ ভাঙাতে কোনো উদ্যোগ গ্রহণের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, ‘কারও মান-অভিমান ভাঙাতে যাব, সেটা আমি আর চাই না। সহানুভূতি দেখাতে যেয়ে যদি অপমানিত হতে হয়, সেখানে আর যাবার কোনো ইচ্ছা আমার নেই।’

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির এমপি ফখরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

গত সংসদ নির্বাচনের আগে সংলাপ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়াকে ফোন করেও প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন। খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর বিএনপি প্রধানকে সান্ত্বনা দিতে প্রধানমন্ত্রী গুলশানে গেলেও দরজা খোলা হয়নি।

বিএনপি এখন তাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে সংসদ ভেঙে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং ইসি পুনর্গঠনের দাবি তুললেও তাতে সাড়া দিচ্ছে না আওয়ামী লীগ। বিএনপির দাবি বরাবর প্রত্যাখ্যান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।

এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর কাছে কবিতার ছন্দে জানতে চান ‘একটি পিছিয়ে পড়া জাতিকে উন্নয়নে ভাসিয়ে দেয়ার নাম শেখ হাসিনা, কমতে থাকা বাক্যালাপ, বাড়তে থাকা দূরত্বের, ক্ষোভের পাহাড় জমেছে বড় অভিমানের রাজত্বে, এই যে পলিটিক্যাল অভিমানটা চলছে, এটা কোনোক্রমে রোহিঙ্গা সমস্যা থেকে কম সমস্যা নয়, এই পলিটিক্যাল দূরত্ব কীভাবে সমাধান করবেন?

উত্তরে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মান-অভিমান কোথায়, তা আমি জানি না। এটা নীতির প্রশ্ন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের প্রশ্ন, আইনের প্রশ্ন। কেউ যদি অন্যায় করে, অর্থ আত্মসাৎ করে, চুরি করে, খুন করে, খুনের প্রচেষ্টা চালায়, গ্রেনেড ও বোমা মারে, তার বিচার হবে, এটাই স্বাভাবিক। রাজনীতি সবাই করেন যার যার আদর্শ নিয়ে। দেশটা সকলের। বিষয়টি এমন নয় যে দেশটা আমাদের একার। যারা রাজনীতি করবেন, দেশের প্রতি তাঁদের দায়িত্ববোধ থাকতে হবে। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই নিজেদের কর্মপন্থা ঠিক করবেন, কাজ করবেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজের স্বার্থে রাজনীতি করি না। সেই হিসাবও করি না। হিসাব করি জনগণের জন্য কী করলাম। সেভাবে পদক্ষেপ নিই এবং বাস্তবায়ন করি। আন্তরিক ও নিঃস্বার্থভাবে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করছি বলেই অল্প সময়ে এত উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছি। অতীতে তো অনেক সরকার ছিল। সেখানে দেশের থেকে ব্যক্তি-গোষ্ঠীর স্বার্থ বড় ছিল বলে তারা উন্নতি করতে পারেনি।

(আল-আমিন এম তাওহীদ, ২০সেপ্টেম্ববর-২০১৮ইং)

SHARE