টাঙ্গাইল-৪ এ ধানের শীষের মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে বাদল

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

ভোলা নিউজ-১৯.০৯.১৮

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতি) আসনে ধানের শীষের মনোনয়নের দৌড়ে এগিয়ে আছেন সাবেক ছাত্রনেতা ও মালয়েশিয়া বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার বাদলুর রাহমান খান। ইতিমধ্যে তিনি প্রবাসে বিএনপিকে সংঘটিত করার পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকায় আন্দোলন-সংগ্রামেও ব্যাপক ভূমিকা রাখছেন। সরকারবিরোধী বিগত আন্দোলনগুলোতে ক্ষতিগ্রস্তি নেতাকর্মীদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। নির্যাতিত নেতাকর্মীদেরও সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। তার নির্বাচনী এলাকায় বাড়ছে জনসমর্থনও।
জানা গেছে, টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতি) আসনটিতে নেতৃত্বের শূন্যতা বিরাজ করছে। একসময় ওই আসনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জাতীয় দুই নেতা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও শাজাহান সিরাজ। ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করে মন্ত্রিত্ব হারানোর পাশাপাশি আওয়ামী লীগ থেকেও বহিষ্কৃত হয়েছেন। এদিকে বিএনপি নেতা শাজাহান সিরাজ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে এখন শয্যাশায়ী।
২০১৪ সালে বিনাভোটে আওয়ামী লীগের এমপি হয়েছিলেন লাতিফ সিদ্দিকী। কিন্তু দল থেকে বহিষ্কারের পর উপনির্বাচনে এমপি হন আওয়ামী লীগ নেতা সোহেল হাজারী। ধারণা করা হচ্ছেÑ এবারও নৌকার মনোনয়ন পাবেন তিনি। এদিকে শাজাহান সিরাজের অবর্তমানে ২০০৮ সালে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল রাজনীতিতে অপরিচিত মুখ ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান মতিনকে। যদিও ওই নির্বাচনে ধানের শীষের টিকিটের জোর দাবিদার ছিলেন ওয়ান-ইলেভেন সরকারের বিরুদ্ধে প্রবাস আন্দোলনের মূল রূপকার সাবেক ছাত্রনেতা ও মালয়েশিয়া বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার বাদলুর রাহমান খান। এরপর গত দশ বছর নিজের ব্যবসা বাঁচাতে লুৎফর রহমান মতিন রাজনীতি থেকে নির্বাসনে চলে যান। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন এলাকার নেতাকর্মীদের সঙ্গে। কালিহাতির নেতাকর্মীরা তার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। এমতাবস্থায় নির্বাচনী মাঠে আছেন মালয়েশিয়ার বিএনপি সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার বাদলুর রাহমান খান, সাবেক ছাত্রনেতা বেনজির আহমেদ টিটু এবং ইঞ্জিনিয়ার হালিম। সার্বিক বিবেচনায় ইঞ্জিনিয়ার বাদলুর রহমান খানকেই বিএনপি ধানের শীষের মনোনয়ন পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

SHARE