শোক শুধু আগস্ট না সকল মাস?

ডেস্ক: ভোলানিউজ.কম,

তুমি এসেছিলে এই অপরুপ বাংলাকে সাজাঁতে, তুমি এসেছিলে বাঙ্গালীদের অধিকার আদায়ে। তুমি এসেছিলে ভাষার অধিকারে, তুমি এসেছিলে আমাদের ইজ্জত রক্ষার্থে। তুমিই তো সেই বীর অন্যায়ের কাছে করনি মাথা নত। তুমিই তো সেই নেতা ছিলে গর্জনে ভীতু হয়েছিল ওই পাকিস্তানি হায়নারা।তুমিই তো সেই সন্তান মা-বোনদের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে নেমেছিলে।তুমি তো আমাদের অহংকার আর গৌরব ওই হায়রানা তোমার কাছে আত্মসর্মপণ করেছিল।
তুমি তো সেই মানুষটি লাল সবুজের পতাকা ছিনিয়ে এনেছিলে।তুমিই তো সেই লোক বাংলাদেশকে সোনার দেশে পরিনত করতে চেয়েছিলে। হে প্রিয় নেতা আপনি সকল কিছুই আমাদের এনে দিয়েছো কিন্তু সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন যেদিন দেখেছিলে সেদিন থেকেই কুচক্র মহলের কাছে হয়ে গেছো অন্ধকার। ওই হায়নার ছোবলেরা তোমাকে বাচঁতে দেয়নি, নির্মমভাবে হত্যা করেছিল তুমিসহ তোমার পরিবারকে। তখন আমরা এমনটাই নিচু হয়েছিলাম ভাল কিছু আমাদের অন্তরে সহ্য হয়নি।আমরা বিবেকহীন মানুষ নামে পরিচিত লাভ করতে পেরেছি। কারন আমাদের হাত থেকে বাচঁতে পারেনি গর্ভবতী মা।অগ্নির মতো গুলি বর্ষনে বাচঁতে পারেনি ছোট শিশুটিও। আমরা বাঙ্গালী আজও বুজতে পারিনি কে ছিল আপনজন।আমরা এখনো ওই কুচক্র মহলের জয় ধ্বনি বাজিঁয়ে যাচ্ছি। আমাদের বিবেক অন্ধকারে নিমজ্জিত, কারন আমাদের চোখে কখনো ভাল কিছু শোভা পায়না।

প্রশ্ন: যদি কারো পরিবারকে কেউ এমনভাবে হত্যা করতে, আর সেই পরিবারের কোন একটি সন্তান বেচেঁ থাকলে এর প্রতিশোধ নিতেই প্রয়োজনে সেই সন্তান জীবন দিতে প্রস্তুত থাকতেন।হয়তো আমার মতো ছেলে এমন হত্যাকান্ড কখনো মেনে নিতে পারতাম না। মা-বাবা কিংবা পরিবার হারানোর ব্যাথা কতটুকু ছিল যদি হারিয়ে ফেলতাম তাহলে অনুভব করতে পারতাম।

আমাদের সমাজে সেই জ্ঞান মানুষের ভিতরে আজও তৈরি হয়নি, আমরা মানুষ ভাল কিছু হজম হয় না। যারা দেশের জন্য জীবন দিয়েছিল এবং জেলহাজতে ছিল তাদের কথা আমাদের মনে নেই।কারন এই জগত মিথ্যা স্বার্থপরতায় ভরপুর।মানুষ স্বার্থ ছাড়া কিছুই চিনে না, স্বার্থর জন্য সবকিছু ত্যাগ করতে পারে। তুমিই তো বলেছিলে কম্বল সাড়ে সাত কোটি আর মানুষ হলো ৭কোটি। আমার কম্বলখানি কই?। জানি তুমি সততার সাথে সবকিছু করতে চেয়েছিলে কিন্তু ওই দুষ্ট চক্ররা করতে দেয়নি।এদেশে যে ব্যক্তি ভাল কিছু স্বপ্ন দেখেছে তাকেই পৃথিবী ছাড়া করেছে তাহলে আমরা কোন ধরনের মানুষ হিসেবে বেচেঁ আছি?। আজ মানুষ হিসেবে পরিচয় দিতে লজ্জা হয় কারন মানুষত্ব্য পরিচয় নেই। যদি আমাদের মানুষত্ব্য পরিচয় থাকতে তাহলে আপনাদের মতো মানুষকে হৃদয় থেকে মুচে ফেলতাম না। আমরা তো দেশকে নিয়ে আপনাদের মতো ভাল কিছু স্বপ্ন দেখিনা। যদি দেশ ও জাতিকে বিশ্বের কাছে উচুঁ করে দাড়ঁ করার মন মানষিকতা থাকতে তাহলে আপনাদের মতো মানুষকে হত্যা করতে পারতাম না। আজও দেশ প্রেমিক হতে পারলাম না। কারন আমি এই লেখাটুকুর কারনে আগামি দিন হতে পারি বড় অপরাধী।যে দেশের জন্য এবং সত্য বলেছে তাকেই মেরে ফেলা হয়েছে।

পরিশেষে, আপনার ও আপনার পরিবারের সকল নিহতের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং আপনাদেরকে আল্লাহ চির জান্নাতবাসি করুক। আপনার প্রতি রইলো গভীর শ্রদ্ধা।আপনাকে শুধু আগস্ট মাস নয়, সকল মাসেই স্বরণ করি এবং করবো।যতদিন বেচেঁ আছি ততদিন আপনার নামটি অন্তরে থাকবে।

লেখক সাংবাদিক আল-আমিন এম তাওহীদ ভোলা, তার ব্যবহৃত ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।

(এমএজেড, ১৫আগস্ট-২০১৮ইং)

SHARE