অনলাইন ডেস্ক: ভোলানিউজ.কম,
গত ২৯ জুলাই শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার জের ধরে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নামে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে সরকারের বাস্তবায়নের জন্য ৯ দফা দাবি ঘোষণা করা হয়। যা বাস্তবসম্মত ও যৌক্তিক বলে অভিমত দিয়েছেন।
কুর্মিটোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে সারা দেশে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের মাধ্যমে যে দাবি জানিয়েছে তা ইতোমধ্যে পূরণ করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের সকল দাবি মেনে নেয়াতে সরকারকে অভিবাদন জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে ইতোমধ্যে ক্লাসে ফিরেছে শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে এই আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে স্কুলের পোশাক পরে ঢুকে পড়েছে ষড়যন্ত্রকারীরা।
এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে স্কুল ড্রেস বিক্রি বেড়ে গেছে কয়েক গুণ। ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার একটি টেইলার্সের দোকান থেকে এক দিনেই সাড়ে ৪ হাজার পোশাক বানানো হয়েছে (স্কুল ড্রেস) বলে জানা যায়। একাধিক ভিডিওতে, রাস্তার পাশে ড্রেস পরিবর্তন করতে দেখা যায় কয়েকজন যুবককে। তারা সাধারণ ড্রেস পরিবর্তন করে স্কুল ড্রেস পরে আন্দোলনকারীদের সাথে মিশে যায়। তাদের ব্যাগে ধারালো অস্ত্র থাকার প্রমাণও পাওয়া গেছে। আবার ট্রাকে করে এই ছেলেদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে। মূলত এরাই ছাত্রদের সাথে মিশে গিয়ে নাশকতা করছে।
স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে পুঁজি করে এবং এটিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে একটি কুচক্রী মহল দেশে অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। এদের উদ্দেশ্য ভিন্ন। এদের কর্মকান্ড কোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের অংশ হতে পারে না। এদের উদ্দেশ্য সরকারকে বেকায়দায় ফেলা।
(আল-আমিন এম তাওহীদ, ১০আগস্ট-২০১৮ইং)