বিপ্লব সভাপতি, ইলিশায় আনন্দ, ভুয়া অধ্যক্ষের রীট খারিজ

আরিফুর রহমানঃ

ভোলা নিউজজ-০৯.০৮.১৮

ভোলার ভুয়া অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিনের পক্ষে দেয়া রীটের আদেশ খারিজ করে দিয়েছে চেম্বার জজ আদালত। আজ দুপুরে চেম্বার জজ আদালত নিজামের পক্ষে দেয়া এডহক কমিটি বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেন। এতে করে ভোলার যুবরত্ন মাইনুল হোসেন বিপ্লব ই সভাপতির দায়িত্বপান ইলিশা ইসলামিয়া মডেল কলেজের গভর্নিংবডির। এ খবর ভোলায় আসলে ইলিশায় আনন্দের বন্যা বয়ে যায় কলেজ ছাত্র শিক্ষক ও অভিবাবকদের মধ্যে।

সরেজমিন জানা যায়, ভৌতিক ও ভুয়া কমিটির মাধ্যমে মাস্টার্স পাস করার আগেই দুর্নীতি ও চরম জাল- জালিয়াতির মাধ্যমে অধ্যক্ষ পদ দখল করেন মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন। এসকল অপকর্ম থেকে রক্ষা পেতে ভিনগ্রহের মহিলাকে সভাপতি করে একটি ভৌতিক পকেট কমিটি গঠন করে আপাতত রক্ষা পান তিনি। ভুয়া অধ্যক্ষ নিজামের   অনিচ্ছাসত্ত্বেও সদর উত্তরের এ কলেজটি সুচারু রুপে পরিচালনার জন্য বণিজ্য মন্ত্রী মহাদয় মাঝ পথে ভোলা সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন কলেজের সভাপতি করেন। তাকে শিক্ষাগত যোগ্যতার কারন দেখিয়ে রিট করে তার সভাপতির পদ বাতিল করেন এই কথিত ভুয়া অধ্যক্ষ নিজাম। চালু হয় আবার ভিন গ্রহের ভৌতিক কমিটি। এ যাত্রায় নিজাম আবার পার পেয়েগেলেও অভিবাবকদের দাবীর মুখে মাননীয় বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ কলেজের শিক্ষক, এলাকা বাসি, অভিবাবকদের ইচ্ছায় কলেজটি রক্ষার জন্য ফের হস্তক্ষেপ করেন। এবার ভোলার দুর্নীতিবাজদের আতংক ফাতেমা খানম কলেজকে দুর্নীতি মুক্ত করা সফল সভাপতি তার ছেলে ভোলার ভবিষ্যৎ কর্নধার, তরুন উদীয়মান ক্লীন ইমেজের সমাজ সেবক তারুণ্যের অহংকার মইনুল হোসেন বিপ্লবকে সভাপতি করেন দুর্নীতি আক্রান্ত কলেজটির।মইনুল হোসেন বিপ্লব সভাপতি হওয়ার পর নিজামের গনেশ উল্টে যায়। অতঃপর ভুয়া অধ্যক্ষের সকল ছলচাতুরি ধরা পরে যায় ভোলার তরুন উদিয়মান ক্লিন ইমেজের সমাজ সেবক মইনুল হোসেন বিপ্লবের কাছে। সভাপতি হয়েই নিয়মিত কলেজের মিটিং ডাকা হয়। কলেজের শৃংখলা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়। আয় ব্যয় ব্যাংকে জমা হতে থাকে। নিজামের মোবাইলে ব্যাংকে টাকা জমার ম্যাসেজ যায় কিন্তু টাকা পকেটে যায় না। দুই মাসে কলেজর একাউন্টে টাকা জমা হয় প্রায় ৫ লক্ষ টাকা। ব্যাংকের টাকা উত্তোলনের জন্য নিজাম পাগল প্রায় হয়ে স্থানীয় এক অভিভাবক সদস্য নুরুল ইসলামকে তার ছেলেকে উপবৃত্তি দেয়ার কথা বলে স্বাক্ষর নিয়ে হাইকোর্টে প্রতারনা মূলক রিট পিটিশন দাখিল করেন। পরবর্তিতে অভিবাবক সদস্য নুরুল ইসলাম রিটের কথা জানতে পেরে হাইকোর্টে রীট পিটিশন প্রত্যাহারের আবেদন করেন। আজ চেম্বার জজ উভয় পক্ষের দীর্ঘ্য শুনানী শেষে এডহক কমিটি বাতিলের আদেশটি খারিজ করে দেন। এতে করে নিজামের সকল ছলচাতুরি ধরা খেয়ে যায়। রীটের আদেশ খারিজের এ খবর টি ভোলায় আসার সাথে সাথে মইনুল হোসেন বিপ্লবে শুভেচ্ছা জানিয়ে ইলিশায় আনন্দ মিছিল করার খবর পাওয়া গেছে। এ দিক জতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিজামের বিভন্ন প্রকার দুর্নীতি, জাল- জালিয়াতি সম্পর্ক তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বর্মানান সভাপতিকে অনুরোধক্রমে নির্দেশ প্রদান করেছেন। অন্যদিকে দুদকও ভূয়া অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে করা একটি মামলা চালু করতে চেম্বার জজে আপিল করেছেন। দুদকের করা আপিলের শুনানি শেষ হলে দুদকের মামলার কার্যকরিতা শুরু হয়ে যাবে এই দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ নিজামের বিরুদ্ধে।

উল্লেখ্য ভুয়া অধ্যক্ষ নিজামা উদ্দিন ১৪৫ জন ছাত্রছাত্রীর ইন্টারের রেজিস্টেশন না করে তাদের সকলের দেয়া টাকা নিয়ে পালিয়ে গেলে অনিশ্চয়তার মধ্যে পরে তাদের শিক্ষা জীবন। পরবর্তিতে সকল অভিবাবক ও ভুক্তভুগি শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনকরে এবং কলেজে তালা ঝুলিয়ে কলেজ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তিতে কলেজ সভাপতির আস্বাসে ছাত্ররা ক্লাসে ফিরেজান। কলেজ সভাপতি মাইনুল হোসেন বিপ্লব ও জাতিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে লিয়াজো করে ১৪৫ ছাত্রের শিক্ষাজীবন ফিরিয়ে দিয়ে তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন।

SHARE