বিএনপি-জামায়াতের জট খুলতে কাজ করছে পাকিস্তান দূতাবাস

অনলাইন ডেস্ক: ভোলানিউজ.কম,

খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় কোন্দল, অবিশ্বাস ও শরিক দলের বেইমানির কারণে বিএনপি প্রার্থীদের শোচনীয় পরাজয়ে বিএনপিসহ পাকিস্তানপন্থী দলগুলোর ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানপন্থী দলগুলোর অস্তিত্ব ধুলোয় মিশে গেলে বাংলাদেশের উপর রাজনৈতিক প্রতিশোধ নিতে পারবে না দেশটি। তাই বাংলাদেশে চলমান ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এবার লন্ডনস্থ পাকিস্তান দূতাবাস সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতের চলমান দ্বন্দ্ব মিটাতে গোপন বৈঠক করেছে দুই দলের নেতাদের সাথে।

সূত্র বলছে, গোপন সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন লন্ডনে পলাতক বিএনপি নেতা তারেক রহমান ও যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর প্রভাবশালী নেতা ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক এবং পাকিস্তান দূতাবাসের দুজন কর্মকর্তা।

লন্ডন সূত্রে জানা যায়, ৭ জুলাই গভীর রাতে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে পাকিস্তান দূতাবাসের দুজন কর্মকর্তা দ্বন্দ্ব ভুলে হাতে হাত রেখে আওয়ামী লীগকে মোকাবেলা করতে তারেক রহমান ও আব্দুর রাজ্জাককে আহ্বান জানান। কারণ আওয়ামী লীগ সরকারের কারণে পাকিস্তান বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাদের আদর্শ বাস্তবায়ন করতে পারছে না। পাশাপাশি চিরশত্রু ভারতকে একতরফাভাবে আওয়ামী লীগ সমর্থন করায় ভূরাজনৈতিক কৌশলে বারবার মার খাচ্ছে পাকিস্তান। কর্মকর্তারা যেকোনভাবেই বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তান বানানোর জন্য বিএনপি ও জামায়াত নেতাকে নির্দেশ দেন। তাই মিশন সফল করতে নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি বাদ দিয়ে সিলেটসহ বাকি দু্ই সিটি নির্বাচনে এক হয়ে কাজ করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়।

দূতাবাস কর্মকর্তা আরও বলেন, বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে ফাঁটল ধরাতে সরকার কৌশলে কাজ করছে। সুতরাং তাদের ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। বাংলাদেশে জামায়াত ও বিএনপির মধ্যে যদি সম্পর্ক নষ্ট হয়, তবে সবচেয়ে লাভবান হবে আওয়ামী লীগ। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আওয়ামী লীগ বিরোধীরা। এখনকার কঠিন সময়ে যেন কোনোভাবেই জামায়াত-বিএনপির সম্পর্ক নষ্ট না হয়। সেই কথাই বলেছেন বৈঠকের উদ্যোক্তারা। পাশাপাশি তিন সিটিতে এক হয়ে নির্বাচন করলে তারেক রহমানকে পুরষ্কার হিসেবে ১০ মিলিয়ন পাউন্ড উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয় বৈঠক থেকে। পুরষ্কার ঘোষণার পরপরই বিএনপি ও জামায়াতের দ্বন্দ্ব মিটাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, মওদুদ আহমেদ এবং জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল হালিম ও নায়েবে আমীর মিয়া গোলাম পারোয়ারকে একত্রে বসে চলমান সমস্যা সমাধানে বৈঠক করারও নির্দেশ দিয়েছেন তারেক রহমান। দ্রুত জামায়াতের নেতাকে সিলেট নির্বাচন থেকে সরে যেতে ব্রেন ওয়াশ করারও আদেশ দিয়েছেন তারেক।

নয়া পল্টন বিএনপি সূত্রে জানা যায়, সিলেট, রাজশাহী ও বরিশাল নির্বাচনে এক ছাতার নিচে শরিক দলের সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করার জন্য ইতোমধ্যেই তারেক রহমানের আদেশ পালন করার জন্য কাজ করছেন মির্জা আব্বাস ও মওদুদ আহমেদ। প্রয়োজন হলে জামায়াত নেতাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য দুই নেতাকে আদেশ করেছেন তারেক। জানা গেছে, যেকোন সময়ে বিএনপি-জামায়াতের ঝামেলা মিটতে পারে। না মিটলে জামায়াতের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

(আল-আমিন এম তাওহীদ, ১৪জুলাই-২০১৮ই)

SHARE