চরফ্যাশন দক্ষিণ আইচার মাদকের দুই গডফাদার ওপেন,

আল-আমিন এম তাওহীদ, চরফ্যাশন থেকে ফিরে-ভোলানিউজ.কম,

২০১৫সালে ভোলার পুলিশের তালিকায় মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে থাকা সত্বেও চরফ্যাশন দক্ষিণ আইচার দুই মাদকের গডফাদার আজও গ্রেফতার হয়নি। এখন পর্যন্ত চলছে অবিরাম মাদকের ব্যবসা। প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে লিপ্ত নানা অনৈতিককাজে।রাতের অন্ধকারেই দক্ষিণ আইচা থানার সামনে বাজারে একটি দোকানঘরে বসে মাদকের আড্ডা নিয়ে। স্থানীয়রা বার বার বলা সত্বেও গ্রেফতার করছেনা।

স্থানীয়রা জানান, বিল্লাল ও বাদল বীর মাদক ব্যবসায়ী।চরফ্যাসন উপজেলার দক্ষিন আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়নের ২ ইউপি সদস্য বাদল বীর ও বেল্লাল চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। অপরদিকে, জানিয়েছেন একজনে বিক্রি করে আরেকজনে খাচ্ছে।এদের আড্ডা থানার সামনেই।

চলমান সরকারের মাদক বিরোধী অভিযানে বড় বড় লিডার পুলিশের খ্যাচায় বন্ধি এবং অনেক গডফাদার নিহত হয়েছে কিন্তু আজও এই দুই মাদকের ডন “বাদল বীর ও বেল্লাল” গ্রেফতার না হওয়ায় এখন জনমনে প্রশ্ন তুলেছে।

এ দুই মাদক ব্যবসায়ী ক্ষমতাশীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে চলছে নানা অপকর্ম। দক্ষিন আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপিসদস্য বাদল মীর ও ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার বেল্লাল হাওলাদার মাদক বিক্রেতা এবং মাদকসেবী হিসেবেই সকলের কাছে পরিচিতি। বেল্লাল আগে বিএনপির থানা যুবদলের নেতা ছিলেন বর্তমানে নিজেকে আওয়ামীলীগ নেতা বলে পরিচয় দিচ্ছে কিন্তু সে দলীয় কোন পদে নেই বলে জানাযায় আ.লীগ দলীয় সূত্রে।

দক্ষিন আইচা থানায় মাদকের তালিকায় ২০১৫ সালে যাদের নাম রয়েছে,
চরমানিকা ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বেল্লাল হাওলাদার, চরমানিকা ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাদল মীর,
চরমানিকা ৮নং ওয়ার্ডের রেজাউল, চরমানিকা ৫নং ওয়ার্ডের ইসমাইল, চরফ্যাসনের নুরু/গুজা নুরু, চরমানিকা ৫নং ওয়ার্ডের ছিডু। এদের সবাইর বিরুদ্ধে ২/৩ করে মাদক মামলা রয়েছে।এই দুই মাদক ব্যবসায়ীর সহোদর এনায়েত ইয়াবাসহ গ্রেফতার হলেও, হয়নি গ্রেফতার এই দুই মাদকের ডন।

এদিকে, এই দুই মাদক ডনের চলমান মাদক ব্যবসায়ীর  সংবাদ পরিবেশন করায় ওই থানার সাংবাদিকের উপর রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে ক্যামেরা টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। পরে পুলিশ যেয়ে উদ্ধার হাসপাতালে পাঠায় বলেও জানাযায়।সাংবাদিক তুহিন হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে দক্ষিন আইচা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যাহার মামলা নং ৮/১৮/ কিন্তু এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

মাদক ব্যবসায়ীরা ইউপি সদস্য হিসেবে দায়িত্বে থাকায় ভয়ে প্রতিবাদও করছেন না এলাকাবাসি।

এবিষয়ে দক্ষিণ আইচা থানার ওসি মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, ওরা মাদক পান করে কিন্তু ব্যবসা করেনা।

অন্য একটি পুলিশের গোপন সূত্রে জানান, ২০১৫ সাল থেকেই এরা মাদকের সাথে জড়িত রয়েছে।এদের তালিকাও রয়েছে। এরা স্থানীয় রাজনৈতিক এক নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে চলে বেড়াচ্ছে।

এবিষয়টি বর্তমান ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মোকতার হোসেনের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন ভুক্তভুগী ও এলাকাবাসী। অপরদিকে, ওসিকে সরানোর জোড় দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি।দক্ষিণ আইচা বিএনপি জামায়াতকে ইন্দোন দিচ্ছেন ওসি বলেও জানিয়েছেন এলাকাবাসী। বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা পুলিশ সুপারের সহানুভুতি কামনা করছেন।

(আল-এম, ২২জুন-২০১৮ই)

SHARE