ভোলায় স্কুল ছাএী ধর্ষন !! এক স্ট্যাম্পের সাক্ষরে জিম্মি ধর্ষিতার পরিবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ভোলা নিউজ-০১.০৬.১৮

ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের স্কুল ছাএী ধর্ষন নিয়ে নানা নাটকিয়তা শেষ হলেও এখনো স্থানীয়দের ক্ষোভের মাত্রা রয়েই গেছে। কেউ বলছে সকলের জানাজানিতে প্রকাশ্যে স্কুল ছাত্রী ধর্ষন করলেও শুধু মাত্র একটি স্টাম্পে স্বাক্ষর ও রাজনৈতিক বিবেচনায় পার পেয়ে যাচ্ছে ধর্ষকরা।

স্থানীয়রা বলছেন, ধর্ষকের দায়ে অভিযুক্ত হিরন লার্ড পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সম্পাদক। এবং স্থাণীয় আওয়ামীলী নেত্রী ও মেম্বার বেগম লার্ড এর ছেলে। এদিকে এই মানুষ রুপী হায়নার দলের বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামীলীগ কোন প্রকার ব্যাবস্থা না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগের অনেক নেতা কর্মী। তারা দ্রুত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার দাবী জানান।
পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের সিনিয়র এক আওয়ামীলীগ নেতা জানান, হিরন লার্ড একজন মাদকাসক্ত ঘটনার দিন ধর্ষিতা স্কুল ছাএীকে  ধর্ষনের কথা সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করলেও পরে বেগম লার্ড স্ট্যাম্পে শাক্ষর নিয়ে বলেছে কোন প্রকার ঝামেলা করলেই দেখিয়ে দিবে একই কথা বলেন স্থানীয় এক ইউপি সদস্য ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।

ধর্ষক শিকার করে ক্ষমা চাচ্ছে অন্যদিকে ইউপি চেয়ারম্যান ধর্ষনের সত্যতা স্বীকার করেছেন, মেয়ের বাবা প্রথমে থানায় এসে ওসি ও ওসি তদন্তসহ সকল সাংবাদিকদের সামনে বলেছেন তার মেয়েকে ধর্ষনের কথা কিন্তু হঠাৎ ৪৫ মিনিিট পরে কেন মোর গুড়িয়ে দিলেন, এ নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন।

কেউ বলছে মামলার কথা শুনে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ধর্ষিতার পরিবার কে মেনেজ করেছে আবার কেউ বলছে ধর্ষকেরা প্রভাবশালী বলে ভয় পাচ্ছে, অন্যদিকে প্রশ্ন উঠেছে ধর্ষনের শিকার না হলে ইউপি মেম্বার বেগম লার্ড কিসের সাক্ষর রাখলো মেয়ের অভিবাবক থেকে? পুলিশ সত্যতা বের করার জন্য এবং ধর্ষকদের শাস্তির জন্য ভুমিকা নিলেও মেয়ের বাবার অসহযোগিতার জন্য সকল প্রকার আইনি ব্যাবস্থা বন্ধ হয়ে যায়।

ঘটনাসূত্রে জানা যায়, রাজাপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের আলাউদ্দিন মিয়া’র স্কুল পড়ুয়া মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয় স্থাণীয় মুনাফ ফলবান এর ছেলে রাছেল এর সাথে। সে সুুুুবাদে রাছেল তার প্রেমিকা কে নিয়ে পালিয়ে গেলে স্থানীীয় কয়েক বকাটে তাদের উদ্ধার করে হাওলাদার বাজার নামক স্থানে পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন এর কাছে নিয়ে আসেে। তিনি তখন মেয়ের বাবা কে ফোন দিলে মেয়ের বাবা চেয়ারম্যান কে জানান আপনি পুলিশ কে দিয়ে দিন। কিন্তু চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন পুলিশ কে না দিয়ে উল্টা আলাউদ্দিন নামক এক ব্যক্তির জিম্মায় দিলে সেখান থেকে ওই স্কুল ছাএী কে নিয়ে আনোয়ার, রাছেলসহ তিন জনে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষন করেন,পরে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পরলে পশ্চিম ইলিশার চেয়ারম্যান এড়িয়ে যান, অন্যদিকে মহিলা মেম্বার বেগম লার্ড মেয়ের অভিবাবক ও ছেলের মা কে ডেকে তাদের হাতে মেয়ে ও ছেলে তুলে দেন।
এই বিষয়ে মেয়ের বাবা আলাউদ্দিন ভোলা নিউজ কে জানান, আমার মেয়ের ধর্ষনকারী ও চেয়ারম্যান মেম্বার দের বিচার এই রমজানে মাসে আল্লাহ্ উপর দিলাম, এই দিকে এই বিষয়টি পশ্চিম ইলিশা ও রাজাপুর সবার মুখে মুখে।

চেয়ারম্যান থেকে জিম্মায় নেওয়া আলাউদ্দিন মাতাব্বর জানান আমি চেয়ারম্যান এর কাছ থেকে নেওয়ার পর বেগম লার্ডের বাড়ীতে ছিলো মেয়ে কিন্তু সেখানে এমন ঘটনা ঘটবে বুঝতে পারেনি।
মহিলা মেম্বার বেগম লার্ড ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, আমার কাছে মেয়ে ছেলে আসার পর লিখিত রেখে ছেড়ে দিয়েছি।
চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন জানান,আমি ভুল করেছি আলাউদ্দিনের হাতে দিয়ে তবে যারা এই মেয়ের উপর এই নির্যাতন করেছে তাদের বিচার আল্লাহ্ করবে।

ধর্ষিতার বিচার তার বাবা যে কোন অজানা কারনে না চাইলেও কথিত আওয়ামীলীগের ৫ নং ওয়ার্ড সম্পাদকের পরিচয় দিয়ে পশ্চিম ইলিশিয় একের পর এক অপরাধের জন্ম দেয়া হিরণ লাডের বিচার চায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাসহ দলীয় কর্মীরা।

SHARE