ফারমার্স ব্যাংক কেলেঙ্কারি: বাবুল চিশতীর জামিন নাকচ

অনলাইন ডেস্ক: ভোলানিউজ.কম,

ফারমার্স ব্যাংকের প্রায় ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় কারাগারে থাকা ব্যাংকটির অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতীর জামিনের আবেদন নাকচ করেছে দায়রা আদালত।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা এই আদেশ দেন।

বাবুল চিশতীর পক্ষে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি কাজী নজিবুল্লাহ হিরু জামিন চেয়ে শুনানি করেন। জামিনের বিরোধিতা করে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।

এর আগে দুই দফা সাত দিনের রিমান্ড শেষে গত ২৬ এপ্রিল এ আসামির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায় সিএমএম আদালত। গত ১০ এপ্রিল ৫ দিন এবং ১৯ এপ্রিল ফের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল আদালত।

এর আগে গত ১৮ এপ্রিল তার ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, ব্যাংকটির ফার্স্ট প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান খান ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জিয়া উদ্দিন আহমেদকে চার দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ১০ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করে দুদকের উপপরিচালক মো. সামছুল আলমের নেতৃত্বাধীন একটি দল।

মামলার অপর দুই আসামি হলেন মাহবুবুল হক চিশতীর স্ত্রী রুজী চিশতী ও ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান করপোরেট শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ও বর্তমান সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রোসিডেন্ট দেলোয়ার হোসেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ব্যাংকের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাহবুবুল হক চিশতী গুলশান শাখায় সঞ্চয়ী হিসাব খুলে বিপুল পরিমাণ অর্থ নগদে ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা ও উত্তোলন করেন। তিনি বিভিন্ন সময় তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়েদের ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন শাখার মোট ২৫টি হিসাবে নগদ ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে মোট ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেন। হিসাবগুলোতে গ্রাহকদের হিসাব থেকে পাঠানো অর্থ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে গ্রহণ করে এবং নিজেদের নামে ক্রয়কৃত ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য পরিশোধের মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেন করেন।

(আল-আমিন এম তাওহীদ, ২৯মে-২০১৮ইং)

SHARE