অনলাইন ডেস্ক: ভোলানিউজ.কম,
পদ্মার বুকে আরও দৃশ্যমান হলো স্বপ্নের সেতু। বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুতে বসানো হয়েছে চতুর্থ স্প্যান। রবিবার সকাল সাতটার দিকে স্প্যানটি বসানো হয়। এর মাধ্যমে পদ্মা সেতুর ৬০০ মিটার দৃশ্যমান হলো। এর আগে তিনটি স্প্যানে ৪৫০ মিটার দৃশ্যমান হয় স্বপ্নের সেতুটি।
পদ্মা সেতুর জাজিরা পয়েন্টে ৪০ ও ৪১ নম্বর পিলারে সকালে বসানো হয় চতুর্থ স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার)।
শনিবার মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কন্সস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে চতুর্থ স্প্যানটি শরিয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে নেয়া হয়। রবিবার ভোরে ৪১ ও ৪২ নম্বর খুঁটির কাছাকাছি ক্রেনটি নেয়া হয়। সকাল পৌনে সাতটার দিকে স্প্যানটি পুরোপুরি খুঁটির ওপর স্থাপন করা হয়।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী আহমেদ আহসান উল্লাহ মজুমদার ঢাকাটাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পাঁচ নম্বর স্প্যানের কাজও এগিয়ে চলছে। এখন চলছে রংয়ের কাজ। সম্পূর্ণ কাজ শেষ হলে এটিকে জাজিরা প্রান্তে ৪১ ও ৪২ নম্বর পিলারে বসানো হবে।
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল পদ্মা সেতু। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই সেতু বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়। তবে দুর্নীতি ষড়যন্ত্রের ধোঁয়া তুলে এই প্রকল্পে অর্থায়ন না করার ঘোষণা দেয় বিশ্বব্যাংকসহ কয়েকটি দাতা সংস্থা। পরে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১২ সালে শুরু হয় সেতুর কাজ। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটিতে কয়েক দফা ব্যয় বেড়েছে। এখন প্রকল্প ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এই সেতুর কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না।
* ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর জাজিরা প্রান্তের ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর প্রথম স্প্যানটি বসানো হয়।
* ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিলারের মধ্যে দ্বিতীয় স্প্যান বসানো হয়।
* ২০১৮ সালের ১১ মার্চ ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিলারের মধ্যে তৃতীয় স্প্যানটি বসানো হয়।
এভাবে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মা সেতুতে ৪২টি খুঁটির ওপর ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। পদ্মা বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।
(আল-আমিন এম তাওহীদ, ১৩মে-২০১৮ইং)