খুলনায় ভোটের প্রচার শেষ মধ্যরাতে

ডেস্ক: ভোলানিউজ.কম,

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। দিনভর নগরীর বিভিন্ন পাড়ায়-মহল্লায় চষে বেড়িয়ে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। আগামী ১৫মে অনুষ্ঠিত হবে এই সিটির নির্বাচন। সে হিসেবে আজ মধ্যরাতে শেষ হবে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা। এমনকি বহিরাগতদের ছাড়তে হবে নির্বাচনী এলাকা।

নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। সাধারণ কেন্দ্রে ২২ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২৪ জন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। ভোটের আগে ও পরে মোট চার দিন প্রতিটি ওয়ার্ডে এক প্লাটুন র‌্যাব এবং দুই ওয়ার্ডে এক কোম্পানি বিজিবি সদস্য টহল ও রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে নির্বাচনের মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন।

এছাড়া প্রার্থীদের আচরণবিধি তদারকিতে থাকবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। গুরুতর অপরাধের শাস্তির জন্য সামারি ট্রায়াল করে বিচার করবেন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট। ইতোমধ্যে আচরণবিধি মনিটরিংয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সিটি এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত হিসেবে টহল শুরু করেছেন।

খুলনা সিটি নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে গতকাল শনিবার রাত ১২টার মধ্যে বহিরাগতদের নির্বাচনী এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে পরিপত্র জারি করে নির্বাচন কমিশন। তবে নির্বাচনে দায়িত্বপালন করা ইসির দেয়া কার্ডধারীরা সেখানে থাকতে পারবেন। এছাড়া আজ রবিবার মধ্যরাত থেকে সব ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ থাকবে বলে ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আগামী ১৫ মে নির্বাচনে যারা এই সিটির বাসিন্দা ও ভোটার তারাই এখানে থাকতে পারবেন।

নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছে, ভোটগ্রহণের পূর্ববর্তী ৩২ ঘণ্টা অর্থাৎ ১৩ মে রবিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে ১৭ মে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় কোনো জনসভা, অনুষ্ঠান আহ্বান করা বা তাতে যোগদান করা যাবে না। এছাড়া কেউ মিছিল বা শোভাযাত্রা সংঘটিত করতে বা তাতে যোগদান করতে পারবেন না। কোনো ব্যক্তি উক্ত বিধান লঙ্ঘন করলে অন্যূন ছয় মাস থেকে অনধিক সাত বৎসর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

১৫ মের এই নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন পাঁচজন। তাদের মধ্যে মূলত লড়াই হবে আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক ও বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জুর মধ্যে।

গতকাল সরেজমিনে দেখা গেছে, শেষ সময়ের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থী-সমর্থকরা। শনিবার খুব সকাল থেকেই নগরীর বিভিন্ন অলিতে গলিতে প্রচারণা চালায় মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরাও দলে দলে ভাগ হয়ে গণসংযোগ চালান। গণসংযোগে অসংখ্য নারী কর্মীর অংশগ্রহণও লক্ষণীয়।

উল্লেখ্য আগামী ১৫মে খুলনা সিটিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন মোট চার লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন ভোটার তাদের নগরপিতা নির্বাচন করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ জন আর নারী ভোটার দুই লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন।

(আল-আমিন এম তাওহীদ, ১৩মে-২০১৮ইং)

SHARE