নথি না আসায় শুনানি হয়নি আপিলের

অনলাইন ডেস্ক,ভোলানিউজ.কম,

গাজীপুর সিটি নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দীন সরকারের আপিলের আবেদনের ওপর শুনানি হয়নি হাইকোর্টের আদেশের নথি না আসায়। মঙ্গলবার এ বিষয়ে শুনানি হবে বলে আশা করছেন বিএনপি নেতার আইনজীবী।

রবিবার উচ্চ আদালতের এক আদেশে ভোট স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর সোমবার দুপুরে এর বিরুদ্ধে চেম্বার জজ আদালতে আপিল করেন হাসান উদ্দিন সরকার।

বেলা তিনটায় বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর এজলাসে শুনানির অপেক্ষায় ছিলেন তার আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং অন্যরা।

কিন্তু ভোট স্থগিত করে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের বেঞ্চের আদেশের নথি না পাওয়ায় শুনানি আর হয়নি।

ঢাকার জেলার সভার উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ বি এম আজহারুল ইসলাম সুরুজের এর আবেদনে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোট স্থগিত হয়েছে।

২০১৩ সালে সুরুজের ইউনিয়নের ছয়টি মৌজা গাজীপুর সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত হয়। তখন থেকেই তিনি এর বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে ছিলেন। গত ১০ এপ্রিলও বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদকে আইনজীবী নিয়োগ করে উচ্চ আদালতে রিট করেন তিনি।

কিন্তু সে আবেদন সেদিন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ হয়ে যায়। এরপর ৬ মে আওয়ামী লীগ পন্থী আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমানকে আইনজীবী নিয়োগ করে আবার আবেদন করেন তিনি।

তবে সুরুজ জানিয়েছেন, তিনি কেবল তার ছয়টি মৌজায় ভোট স্থগিত চেয়েছিলেন।

সুরুজের আবেদনে ভোট স্থগিতের পর গাজীপুরের দুই প্রধান প্রার্থী আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলম এবং বিএনপির হাসান উদ্দিন সরকার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। জাহাঙ্গীর তাৎক্ষণিক আপিল করবেন জানিয়ে ঢাকায় এসে দলের শীর্ষ নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন।

তবে প্রথম আপিল করেন হাসান। আর প্রায় একই সময় উচ্চ আদালতে এসে আপিলের প্রস্তুতি শুরু করেন জাহাঙ্গীর।

জাহাঙ্গীর কাগজপত্র তৈরি করার পর প্রথমে তার সঙ্গীরা আপিল করার কথা জানিয়েছিলেন গণমাধ্যমকর্মীদেরকে। তবে পরে তার আইনজীবী শফিকুর ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমরা সব কাজগপত্র তৈরি করেছি। তবে সময়ের অভাবে নির্ধারিত সময়ে তা জমা দেয়া যায়নি। আশা করি আগামীকাল (মঙ্গলবার) এটি ফাইল করতে পারব।’

হাইকোর্টে জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘গাজীপুর সিটির উন্নয়নের স্বার্থে আমরা নির্বাচন চাই। আমরা গণতন্ত্র চর্চা করতে চাই। নির্বাচনের স্বার্থে আমি সকলের কাছে সহযোগিতা চাই। এজন্য আমি হাইকোর্টেও এসেছি। যে কোন প্রক্রিয়ায় নির্বাচনটা যেন হয়।’

(আল-আমিন এম তাওহীদ, ৭মে/২০১৮ইং)

SHARE