ভোলায় ভয়াবহ আগ্নিকান্ডে শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভস্মীভুত

আল-আমিন এম তাওহীদ,ভোলানিউজ.কম

ভোলা জেলা শহরের মনিহারি পট্টি, চকবাজার,ঘোষপট্রি এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রায় শতাধিক ছোট বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।এ সময় ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট ৪ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এঘটনায় আহত হয়েছেন ৫জন, তারা ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ব্যবসায়ীরা জানান, এতে প্রায় শত কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মনোহারি পট্টির একটি হার্ডওয়ারের দোকান থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। গ্যাস সিলিন্ডার, তেলের ড্রাম, রং ও স্পিরিটসহ দাহ্য পদার্থে আগুন লেগে মুহূর্তের মধ্যে চার দিকে আগুন শিখা ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গভীর রাতে চকবাজার,মনোহারী পট্রি, ঘোষপট্রিতে আগুনের লাগে। খালপাড় এলাকায় সুতা, পলিথিন ও ভোজ্য তৈলে ছড়িয়ে পড়লে আগুনের তীব্রতা ভয়াবহ রুপ ধারণ করে। এরপর চকবাজার এলাকার একাংশের স্টেশনারি, ফল, মুদিসহ খালপাড় এলাকার চালের দোকান, তেলের দোকান আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে, আগুনের সূত্রপাতের খবর পেয়ে, ভোলা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের আনতে কাজ করেন। কিন্তু আগুনের তীব্রতা দেখে ফায়ার সার্ভিসের আরো ৫টি ইউনিট যোগ দেয়। ৪ ঘণ্টা চেষ্টা চালানোর পর ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন ফায়ার সার্ভিস,পুলিশ, স্থানীয়রা।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এ ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় প্রায় শতকোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। শবে-বরাত ও রমজান কে সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা অনেক টাকার মালামাল ক্রয় করেছেন।
আগুনের খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন ভোলা জেলা প্রশাসক মাকসুদ আলম সিদ্দিক ও পুলিশ সুপার মোকতার হোসেন। তাদের নেতৃত্বে পুলিশের কয়েকটি টিম ঘটনাস্থলে স্থানীয়দের সাথে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজে অগ্রনী ভুমিকা পালন করেন যা প্রশংসনীয়।
ভোলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, ফায়ার সার্ভিসের ৬ টি ইউনিটের প্রচেষ্টায় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। ক্ষয়ক্ষতির সঠিক হিসাব এখনো জানা যায়নি। এ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত এখনো জানা যায়নি। আগুনের সূত্রপাত কিভাবে হয়েছে তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

(আল-আমিন এম তাওহীদ,২৮এপ্রিল-২০১৮ইং)

SHARE