ভোলায় বিয়ের দাবীতে অনশন,বাড়িঘরে হামলাসহ চাদাঁদাবীর অভিযোগ!

আল-আমিন এম তাওহীদ,ভোলানিউজ.কম,

সকলেই কমবেশি অবগত বাল্যবিবাহ দন্ডনীয় অপরাধ। তারপরও এলাকার কিছু দুষ্ট কু-চক্র ব্যক্তিদের সহযোগিতায় গোপনে হচ্ছে বাল্যবিবাহ। প্রশাসন ও সামাজিক সংগঠন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে।এঘটনায় প্রশাসনের ভুমিকা কতটুকু ছিল জানতে চায় এলাকাবাসী?। বেশির ভাগ বাল্যবিবাহ হচ্ছে গ্রামগঞ্জে। প্রশাসনের কড়া নজরদাঁড়ী থাকার কারনে খোলা মাঠে বিবাহ বন্ধ রেখে প্রেমের ফাদেঁ ফেলে বিবাহের প্রস্তাব। গোপনে প্রেমের বিবাহে রাজি না হলে তরুণীদের বিবাহের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছে তুরণীরা। এরপর বিবাহের দাবী না মানলে আত্মহত্যা কিংবা বিষপানের হুমকিও আসে। সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার অনেক আশা-ভরসা থাকে, তা বর্তমানে ছিন্ন-ভিন্ন হতে চলছে। অল্প বয়সের বিয়ে পিরিতে বসে, কিছুদিন যেতে না যেতেই চলে আসে ভয়াবহ রুপ। সংসারে অশান্তিসহ নানা ঝুকিঁপূর্ণ। এরই ধারবাহিকতায় ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতবা ইউনিয়নে হাওলাদার বাড়িতে এসএসসি পাশ ছাত্রী বিয়ের দাবীতে ২দিন অনশন। অথচ যার সাথে তরুণী বিয়ের পিরিতে বসবে সে জানেনা এ ঘটনার কাহিনী বলেও জানাযায়।
জানাযায়, দৌলতখান উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রবাসী মোঃ ভাষানীর মেয়ে বিয়ের দাবী নিয়ে, বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতবা ইউনিয়নের বাসিন্দা প্রবাসী মোঃ মফিজের বাড়িতে ২দিন অনশন তরুণীর। এদিকে, ছেলের বয়স ১৬বছর, মেয়ের বয়স ১৬বছর। এ নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন, কেউ বলে বাল্যবিবাহ দন্ডনীয় অপরাধ, সক্রিয় রয়েছেন কু-চক্র মহল দৌড়ঝাপ দিচ্ছেন ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের নিকটে।
প্রবাসী মফিজের পরিবার অভিযোগ সূত্রে জানান, গত ২৩এপ্রিল রাতের অন্ধকারে তরুণী বিয়ের দাবী নিয়ে মফিজের বাড়িতে আসে। এরপরে বিয়ের দাবীতে অনশন চলমান রয়েছে তরুণীর। বাল্যবিবাহ মেনে নিলে তরুণীর পরিবার থেকে আসছে ধর্ষণ মামলা, চাদাঁদাবীসহ বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার হুমকি। ২৫এপ্রিল বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই তরুণীর পরিবারের নেতৃত্বে ৫০-৬০জন বহিরাগত সন্ত্রাস বাহিনী দিয়ে বসতবাড়িতে হামলার চেষ্টা চালায় এবং ১০লাক্ষ টাকা চাদাঁ কথার বলেন হামলাকারীরা। সেই সাথে দেয়া হয়েছে বাল্যবিবাহ পড়ানোর ২৪ঘন্টার আল্টিমেটাম বলে জানান।
অনশন তরুণী জানান, আমার সাথে মফিজের ছেলে সাকিলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এজন্য বিয়ের দাবী নিয়ে সাকিলের বাড়িতে অনশন করছি। সাকিলের সাথে আমি বিয়ে চাই।
তরুণীর চাচা জানান, ছেলে-মেয়ের বয়স হয় নাই। এাংগেজ করিয়ে রাখা হোক। তবুও বিয়ে চাই।
ইউপি চেয়ারম্যান জোবায়েদ আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মেয়ে-ছেলের বিবাহের বয়স হয়নি। বাল্যবিবাহ দন্ডনীয় অপরাধ। আমি প্রশাসনের সাহায্য কামনা করছি।
বোরহানউদ্দিন থানার (ভারপ্রাপ্ত ওসি) অসিম কুমার জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
এবিষয়ে বোরহানউদ্দিন উপজেলার নির্বাহী অফিসার আব্দুল কুদ্দস জানান, আমি মিটিং এ আছি বিষয়টি দেখতেছি।
অপরদিকে প্রবাসী মফিজ জানান, রাতে আইনের আশ্রয় চাইলে সারা দেয়নি বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ।
একদিকে রয়েছে, বাল্যবিবাহের জোড় তাগিদ, অন্যদিকে রয়েছে প্রভাবশালীদের দাপট। এ নিয়ে নানা টানা হেচড়া। অবশেষে কি বাল্যবিবাহ হবে? না প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাচতে পারে দুটি পরিবার?। এলাকাবাসী জানিয়েছেন প্রশাসনের সু-দৃষ্টি হলে বাল্যবিবাহের পথ থেকে বেচে যেতে পারেন তরুণ/তরুণী। প্রভাবশালীদের হাতে থাকলে বাল্যবিবাহ বন্ধ করা সম্ভব হবে না।

(আল-এম,২৫এপ্রিল-২০১৮ইং)

SHARE