তারেক রাজনৈতিক আশ্রয়ে, স্বীকার বিএনপির

অনলাইন ডেস্ক,

তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন বলে প্রথমবারের মতো স্বীকার করে নিয়েছে বিএনপি। এমনকি তিনি যে চার বছর আগে তিনি সে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন সেটিও স্বীকার করেছে তার দল।

২০০৮ সালে চিকিৎসার জন্য প্যারোলে মুক্তি নিয়ে যুক্তরাজ্যে যান তারেক রহমান। চিকিৎসা শেষে তার ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু তারেক রহমান ফেরেননি। আর এর মধ্যে সাড়ে চার বছর আগে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে তার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আর ২০১৪ সালের ২ জুলাই সেটি তিনি যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জমাও দেন।

এরপর থেকে তারেক রহমান কী হিসাবে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন, এ নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল শুরু থেকেই। কিন্তু বিএনপি এ নিয়ে কিছু বলেনি এতদিন।

তবে তারেক রহমান বাংলাদেশের পাসপোর্ট ফিরিয়ে দিয়েছেন, গত ২১ এপ্রিল পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এই তথ্য জানানোর পর তারেক কীভাবে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন, এই বিষয়টি সামনে এসেছে।

এর মধ্যে বাংলাদেশি পাসপোর্ট না থাকা অবস্থায় ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সৌদি আরব সফর করেছেন তারেক রহমান। ২১ দিন তিনি সেখানে ছিলেন। তারেক রহমান কোন দেশের পাসপোর্টে বা কীভাবে সেখানে গেলেন, সেটি রহস্য হয়েই রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপিও কিছু বলছে না।

এর মধ্যে মঙ্গলবার দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় তিনি তারেক রহমানের ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন।

ফখরুল বলেন, ‘আমরা সবাই জানি যে তারেক রহমান সাহেব বিদেশে চিকিৎসার জন্য গেছেন।তারপর এখানে দেশে বর্তমান সরকার তার বিরুদ্ধে যেভাবে মামলা-মোকদ্দমা এবং বিনা বিচারে সাজা দিচ্ছে সে কারণে তিনি অ্যাসাইলাম (রাজনৈতিক আশ্রয়) চেয়েছেন এবং তাকে সেটা দেয়া হয়েছে। অ্যাসাইলামের সময় নিয়ম অনুযায়ী পাসপোর্ট জমা দিতে হয়।’

‘কোনো ব্যক্তি রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলে সাধারণত পাসপোর্টের মালিককে সেটি পরে ফেরত দেয়া হয়।’

ফখরুলের ব্যাখ্যা এমন, ‘সরকারবিরোধী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মতোই সাময়িকভাবে বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন এবং সঙ্গতভাবেই তিনি তা পেয়েছেন। এই প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিক অংশ হিসেবেই তিনি যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র বিভাগে তার পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন। সে দেশের আইন অনুযায়ী তার পাসপোর্ট জমা রেখে তাকে ট্রাভেল পারমিট দেয়া হয়েছে। কাজেই এই মুহূর্তে বাংলাদেশের পাসপোর্ট তার কোনো কাজে আসছে না। যখনই তিনি দেশে ফেরার মতো সুস্থ হবেন, তখনই তিনি দেশের অন্যান্য নাগরিকদের মতোই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে এবং তা অর্জন করতে পারবেন।’

তবে যুক্তরাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জমা দেয়া পাসপোর্ট কীভাবে বাংলাদেশ হাই কমিশনে আসলো সেটা ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে বলেও জানান ফখরুল। বলেন, ‘ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র দপ্তর এ ধরনের কোন চিঠি বাংলাদেশ হাই কমিশনকে দিয়েছে কিনা এবং পাসপোর্টগুলো বাংলাদেশ হাই কমিশনে গেল কিভাবে সে বিষয়টি আইনজীবীরা জানতে চেয়েছেন।’

(আল-আমিন এম তাওহীদ,২৪এপ্রিল-২০১৮ই)

SHARE