আন্তর্জাতিক আরেকটি পদক পাচ্ছেন শেখ হাসিনা

অনলা্ইন ডেস্ক,ভোলানিউজ.কম,

নারীর ক্ষমতায়নে আসামান্য অবদান রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার অস্ট্রেলিয়া সফরে ‘গ্লোবার সামিট অব উইমেন’ এর পক্ষ থেকে দেওয়া হবে ‘গ্লোবাল উইম্যান লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’।

প্রধানমন্ত্রীর অস্ট্রেলিয়া সফর নিয়ে মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলের আমন্ত্রণে ২৬ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত দেশটিতে সফরে থাকবেন শেখ হাসিনা। তিন দিনের এই সম্মেলেনেই প্রধানমন্ত্রীকে পদক দেয়া হবে।

গত আট বছর এবং ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদসহ সরকারের দূরদর্শী নেতৃত্ব দায়িত্বশীল পররাষ্ট্রনীতি ও কূটনৈতিক সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মোট ২৭টি পুরস্কার পেয়েছেন শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ।

এসব পুরস্কারের মধ্যে শেখ হাসিনা চারটি পেয়েছেন জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা থেকে। এর মধ্যে আছে, পার্বত্য শান্তি চুক্তি করায় ১৯৯৮ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক হাটপাওয়েট-বোজনি পুরস্কার, শিশু মৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে ২০১০ সালে এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, নারী ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য পরের বছর সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড এবং পরিবেশ রক্ষায় অবদানের জন্য ২০১৫ সালে পাওয়া চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ পুরস্কার।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আগামী শুক্রবার সিডনিতে এক অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার হাতে নারীর ক্ষমতায়নে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ পুরস্কারটি তুলে দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রীর হাতে।

‘সেখানে তিনি (শেখ হাসিনা) নারীর ক্ষমতায়ন এবং জাতীয় উন্নয়নে তাদের মূলধারায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে তার অবদানের কথা তুলে ধরবেন।’

বাংলাদেশে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করার জন্য ২০১৮ সালের বিশ্ব নারী শীর্ষ সম্মেলনে গ্লোবাল সামিট অব উইমেন্স প্রধানমন্ত্রীকে এই আমন্ত্রণ জানায়।

বাংলাদেশসহ এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নারী শিক্ষা ও ব্যবসায়িক উদ্যোগের বিষয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের জন্য যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্লোবাল সামিট অব উইমেন এই পুরস্কার দিচ্ছে।

গত বছর জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এই পুরস্কার পেয়েছিলেন। অন্যদের মধ্যে জাতিসংঘ মহাচিব বান কি-মুন ও ইউনেস্কোর সাবেক মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভাও এই পুরস্কার পেয়েছিলেন।

অস্ট্রেলিয়া সফরকালে শনিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। আলোচনায় শিক্ষা, ক্রীড়া, মানবসম্পদ উন্নয়ন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, কৃষি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রাধান্য পাবে।

২২তম কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে সর্বশেষ ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়া সফর করেন প্রধানমন্ত্রী।

১৯৯০ সাল থেকে প্রতি বছর গ্লোবাল উইমেন সামিট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছর টোকিওতে এ সামিট অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বের ৬০টি দেশের প্রায় এক হাজারের বেশি প্রতিনিধি সামিটে অংশ নেবেন। বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানরাও এতে যোগ দেবেন।

(আল-অামিন এম তাওহীদ, ২৪এপ্রিল-২০১৮)

SHARE