মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষনা,আইন অমান্য করলে শাস্তি

মোঃ আশরাফুল আলম %

প্রোটিনের সবচেয়ে বড় উৎস দেশের মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধিতে প্রতি বছরের মত আজ বুধবার ১৯/০৫/২১ তারিখ মধ্যরাত থেকে বঙ্গোপসাগরে জলসীমায় ৬৫ দিনের জন্য সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মৎস্য অধিদপ্তর প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে একটি আইন করেছে। এ সময়ে সাগরে সব প্রজাতির মাছের প্রজনন বৃদ্ধি ও ইলিশ বড় হওয়ার সুযোগ করে দিতেই এই পদক্ষেপ। এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার প্রস্তুতি হিসেবে মঙ্গলবার ঢাকার মৎস্য ভবনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপকূলীয় ১৪ জেলার জেলা প্রশাসক ও সংশ্নিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন। আজ রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক মো. আনিচুর রহমান বলেন, বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় এক লাখ ৪৬ হাজার ৫৪৩ জন সাগরগামী জেলে রয়েছেন। তাদেরকে এ সময়ে সাগরে যেতে ও মাছ ধরতেনিষেধ করা হয়েছে। এ জন্য উপকূলীয় এলাকায় সচেতনতা, মাইকিং ও পোস্টার টানানো হয়েছে। উপকূলীয় অন্যান্য জেলাতে একই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, নৌবাহিনী সাগর ও উপকূলে পাহারায় থাকবে।মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ৬৫ দিন নিষেধাজ্ঞা পালনে জেলেদের উৎসাহিত করতে দুই লাখ ৯৮ হাজার ৫৯৫ জন জেলের প্রত্যেকে ৫৬ কেজি করে সহায়তা দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পরিমান চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এদিকে সভায় উপস্হিত জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির যুগ্ম মহাসচিব ইকবাল হোসেন মাতুব্বর বলেন শুধু চাল নয় এর পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য কেনার জন্য নগদ অর্থ সহায়তারও দাবি জানিয়েছেন তিনি।

SHARE