ভোলায় হত্যা মামলার বাদিকে হুমকি থানায় জিডি

 

স্টাফ রিপোর্টার
ভোলায় আলোচিত কাঁচা বাজারের মুছা হত্যা মামলার বাদিকে আসামিরা ভিন্ন ইস্যুতে মুছার মতো জবাই করে হত্যা করা হবে বলে হত্যার হুমকি দিয়েছে। হুমকিতে মামলার বাদি মৃত মূছার ভাই জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সদর থানায় সাধারন ডায়েরী করেছে। যাহার নং ৬৫৩ (১৬/০৫/২০)। শনিবার রাতে এ সাধারন ডায়েরী করা হয়। সাধারন ডায়েরীতে মৃত মুছার ভাই সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের পশ্চিম চরনোয়াবাদ, ৯ নং ওয়ার্ডের মৃত মোঃ খোরশেদ আলম এর ছেলে অর্থাৎ আলোচিত কাঁচা বাজারের হত্যাকৃত মুছার ভাই মোঃ মোস্তফা উল্লেখ্য করেযে একই বাড়ির মৃত আবদুল হকের ছেলে মোঃ কামাল, মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ মাইন উদ্দিন, মোঃ হাসান, মোঃ হোসেন এবং মৃত আবদুল লতিফ এর ছেলে মোঃ মাকসুদ, মোঃ ইব্রাহিমের সাথে তার জমি জমা ও মামলা মোকদ্দমা নিয়া বিরোধ চলছে। মোঃ মোস্তফা তার দখলীয় সম্পত্তিতে থাকা ১টি রেইন্ট্রি গাছ ও ১টি রোড চাম্বুল গাছ তার বসত ঘরের উপর হেলে পরায় মোঃ মোস্তফাসহ তার পরিবারের লোকজনদের ক্ষতি হইতে পারে বিধায় বেপারির কাছে গাছ ২টি বিক্রী করে। শনিবার সকাল অনুমান ৯ ঘটিকার সময় গাছের বেপারি তাহাদের লেবার দ্বারা গাছ ২টি কাটিতে আসিলে পূর্ব বিরোধের জের ধরে বে-আইনি জনতাবদ্ধে মোস্তফার বসত ঘরের সামনে অনাধিকার প্রবেশ করিয়া বেপারিদেরকে গাছ কাটিতে বাধা দেয়। এসময় মোঃ মোস্তফা উল্ল্যেখিতদেরকে বাধার কারন জিজ্ঞাসা করিলে উল্ল্যেখিতদের সাথে মোস্তফার কথার কাটা কাটি হয়। এক পর্যায় উল্ল্যেখিতরা মোস্তফাকে মারার জন্য আগাইয়া আসে। মোস্তফার ডাক চিৎকারে মোঃ মহসিন, মোঃ আবুল কালাম হাওলাদার, মোঃ শাহে আলম এবং বাড়ীর অন্যান্য লোকজনসহ আশপাশের লোকজন আগাইয়া এসে মোস্তফাকে রক্ষা করে। লোকজনের উপস্থিতিতে পুনরায় বেপারী গাছ কাটার জন্য আসলে উল্ল্যেখিতরা বাধা দিয়ে হুমকি দেয়যে, মোস্তফাসহ তাহাদেরকে মারধর করিবে। মোস্তফাকে বাড়ী হইতে উৎখাত এবং বাড়ী ঘর ভাংচুরসহ মিথ্যা মামলা দিয়া হয়রানী করিবে। এমনকি মোস্তফার বড় ভাই মৃত মুসার মত মোস্তফাকেও জবাই করে হত্যা করে লাশ গুম করিয়া ফেলবে বলে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায়। এমন হুমকিত যে কোন সময় উল্ল্যেখিতদের দ্বারা মোস্তফার প্রান নাশসহ বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রহিয়াছে বলে সাধারন ডায়েরী করা হয়েছে।
এব্যাপারে ভোলা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এনায়েত হোসেন জানান, মোঃ মোস্তফা সাধারন ডায়েরী করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে ঘটনা প্রমানিত হলে দোশিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

SHARE